মশিউর রহমান।নিউজ ডেস্ক।আইরিশ বাংলা টাইমস।
সাউথ ওয়েলসের একটি সমুদ্র সৈকতে ডাইনোসর পায়ের ছাপ আবিষ্কার করেছে চার বছর বয়সী এক মেয়ে।
এই মাসের শুরুর দিকে লিলি তার পিতা রিচার্ডের সাথে সাউথ ওয়েলসের একটি সমুদ্র সৈকতে হেঁটে যাওয়ার সময় এটি আবিষ্কার করে।
পায়ের ছাপটি যা ২২০ মিলিয়ন বছরের পুরাতন, বেনড্রিক্স বে(Bendricks Bay)-তে পাওয়া এটি ডাইসরের পায়ের ছাপের “সর্বকালের সেরা নমুনা” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই বেনড্রিক্স বে(Bendricks Bay) এখন ডাইনোসর পায়ের ছাপের জন্য বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচি লাভ করবে।
”লিলির মা, “সেলি ওয়াইল্ডার” বলছিলেন, “লিলি তার বাবা’র সাথে সৈকতে হাটছিল তখন লিলি এটি দেখেছিল এবং সে তখনই বলছিল “বাবা দেখো এটা কি”।
“যখন রিচার্ড বাড়িতে এসে আমাকে ছবিটি দেখিয়েছিল আমি ভাবছিলাম এটি আশ্চর্যজনক মনেহচ্ছিল। ” ”
লিলির বাবা রিচার্ড খুবই আনন্দিত পায়ের ছাপের ছবি তুলতে পেরে। পরে তাকে সেখান থেকে বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়েছিল।
রিচার্ড বলেন “আমরা সত্যিই এই ডাইনোসরে পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়ে শিহরিত এবং আমি আনন্দিত এই জন্য যেএটি জাতীয় জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে মানুষ দেখবে এবং প্রজন্ম ধরে এটি নিয়ে গবেষনা এবং অধ্যয়ন করা হবে।”
কোন ধরনের ডাইনোসর পায়ের ছাপ এটি তা বলা এখন অসম্ভব তবে পায়ের ছাপটি ১০ সেঃমিঃ দীর্ঘ বলে মনে করা হযচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে এটি এমন এক ধরণের ডাইনোসর যা ৭৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২.৫ মিটার দীর্ঘ ছিল এবং এটি পাতলা দুটি পায়ের উপর ভর দিয়ে ছোট ছোট প্রাণী এবং পোকামাকড় শিকার করত।
বৈজ্ঞানিক গবেষনার আগ্রহের কারনে সৈকতের জায়গাটি থেকে থেকে জীবাশ্মটি অপসারণের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ ওয়েলসের কাছ থেকে আইনীভাবে অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
এটি আসছে সপ্তাহের শুরুতে সরানো হবে এবং কার্ডিফের জাতীয় জাদুঘরে রেখে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এটি নিয়ে গবেষণা করা হবে।
“ন্যাশনাল মিউজিয়াম ওয়েলস” থেকে জানানো হয় পায়ের ছাপটি বিজ্ঞানীদের ডায়নোসরদের পদচারণা সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা দেবে। জাদুঘর থেকে লিলি এবং তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানানো হয় কারন তারা এটি প্রথম খুঁজে পেয়েছে।
হতে পারে কোভিড মহামারীর কারনে মানুষকে প্রকৃতি তার কাছে টেনে নিয়ে নিচ্ছে বা প্রকৃতি মানুষের দোরগোড়ায় নিজেকে তুলে ধরেছেন হতে পারে এটি এর নিখুঁত উদাহরণ।
স্পষ্টতই, আমাদের সকলের দোরগোড়ায় ডাইনোসর পায়ের ছাপ নেই তবে আমরা যদি প্রকৃতিকে দেখতে যথেষ্ট সময় দেই তবে প্রকৃতির কাছে পাওয়ার অনেক কিছু আছে।
তথ্যসুত্র:
Four-year-old girl discovers dinosaur footprint on beach in Wales https://jrnl.ie/5340387