তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প; আসিফ হোসাইন

0
1112
Asif Hossain
Asif Hossain

তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প; আসিফ হোসাইন


 

আসিফ হোসেইন আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশী পরিবার থেকে বেরিয়ে আসা এক উদীয়মান সূর্যোদয়। সফলতার আভা ঠিকরে পড়ছে যার কপালে। তিনি একজন উচ্চাভিলাষী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে ত্বর ত্বর করে বেয়ে চলেছেন সফলতার সিঁড়ি বেয়ে।

Asif Haossain
Asif Haossain

আসিফের পিত আমাদের সবার পরিচিত আক্তার হোসেন আয়ারল্যান্ডে ২০০১ সালে আসেন এবং মাতা হেনা আক্তার। তাঁরা দুই ভাই ও এক বোন, ছোট ভাই অমিত হোসাইন এবং বোন অনিক আক্তার নেহা। আসিফ আয়ারল্যান্ডে আসে ২০০২ সালে এবং সেকেন্ডারি স্কুলে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। তারা ডাবলিনের সেন্ট্রিতে বসবাস করছে।

আসিফের প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের আগে একাডেমিক দিকে আলোকপাত করা যাক। ২০০৮ সালে সফলতার সাথে সম্পন্ন করে লিভিং সার্টিফিকেট। ছাত্রাবস্থায়ই নিজে ডিজাইন ও তৈরি করেন রিমোর্ট কন্ট্রোল ডিভাইস। হোয়াইটহল এর প্লাঙ্কেট কলেজ থেকে লিভিং সার্টিফিকেট শেষ করেন। এর পর সুযোগ মেলে ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি তে বায়োমেডিকেল/মেকানিক্যাল-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ২০১২ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ডিজাইন করেন অটোনমাস ইনটেলিজেন্ট ক্যামেরা প্লাটফর্ম যা মেরিন এবং পরিবেশগত পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

এরপর কোন স্টাডি ব্রেক ছাড়াই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘কম্পিউটার ইডেড মেকানিক্যাল & মানুফ্যাকচুরিং ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর MSc শেষ করেন। ডাটা এনালাইটিক্স বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য বিষয়। এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আসিফ ডাটা এনালাইটিক্স এর উপরও নিয়েছে হায়ার ডিপ্লোমা। তাঁর এই সদ্য সমাপ্ত ডিগ্রিটি অর্জন করেন NCIRL থেকে।

ছাত্রাবস্থায় আসিফ অনেক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ২০১১ সালে Oxfam Ireland এ ইভেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এবং একই বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেবিল টেনিস ক্লাবের ভাইস-চেয়ার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১২ সালে কয়েক মাস ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাইভেট টিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যেখানে তিনি ফার্স্ট ইয়ারের শিক্ষার্থীদের স্টাটিক্স মডিউলে সহায়তা করেছেন।

Asif Hossain & His Family
Asif Hossain & His Family

২০১৩ তে MSc শেষ করেই ২০১৪ থেকে শুরু করেন কর্মজীবন। RIVVAL Ltd নামক একটিভি কোম্পানিতে জুনিয়র ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শুরু করেন। বছর না ঘুরতেই নিজের ক্যারিয়ারকে ত্বরান্বিত করতে যোগ দেন নতুন কোম্পানিতে। কাভানের Mastek Ltd নামক কম্পানিতে জুনিয়র ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে টানা তিন বছর চাকুরী করেন।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে সুযোগ মেলে ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ডাবলিন সোর্ডস এর স্বনামধন্য কোম্পানি Geith International এ। নিজের যোগ্যতা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসিফ অবদান রাখতে চান সামাজিক কর্মকাণ্ডেও। মেলে ধরতে চান নিজের অভিজ্ঞতাকে ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। একাডেমিক ও প্রফেশনাল যে কোন ধরনের সহায়তা ও পরামর্শের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে।

আমরা আসিফের সফলতা কামনা করি এবং দোয়া করি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।

Related News

মুনাসিব হোসাইনের অসামান্য কৃতিত্ব ও ট্রিনিটি কলেজে ফার্মেসিতে ভর্তি

Facebook Comments Box