আমেরিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পর বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসাবে চীন সফলভাবে চাঁদে চন্দযান নামাতে পেরেছে। এই চন্দযানের নাম চ্যাং’ই-৫। চন্দ্রযানটি চাঁদের ‘মাটি ও পাথরের’ নমুনা সংগ্রহ করে আজ বৃহস্পতিবার চীনের স্থানীয় সময় ভোররাতে মঙ্গোলিয়ায় সফলভাবে অবতরণ করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
১৯৭০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অ্যাপোলো এবং সোভিয়েত লুনা মিশনগুলো তাদের নমুনাগুলো ঘরে আনার ৪০ বছরেরও বেশি সময় পরে, এই প্রথম কোনো দেশের পাঠানো চন্দ্রযান এবার চাঁদের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারলো। এই সংগ্রহ করা নমুনাগুলো ভূতত্ত্ব এবং পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের প্রাথমিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন নতুন সব তথ্য দিতে পারবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চীনের প্রেরিত এই চ্যাং’ই-৫ চন্দ্রযানটির অভিযান সফলভাবে সমাপ্তি ঘটার ফলে দেশটির মহাকাশ গবেষণায় ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার হিসাবে দেখা হচ্ছে।
‘চ্যাং’ই-৫’-এর ক্যাপসুলটি অবতরণের পর দ্রুত সেখানে পোঁছার পর সেখানে উপস্থিত হয় উদ্ধারকারী দল। এর আগে ইনফ্রারেড ক্যামেরার সাহায্যে ক্যাপসুলটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। এই মিশনের কর্মীরা চাঁদের তুষার ঢাকা তৃণভূমিতে একটি চীনা পতাকা উত্তোলন করেছে।
গত ২৪ নভেম্বর চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করে চীন।
এই মহাকাশযানে চাঁদের কক্ষপথে যাওয়ার জন্য নকশা করা একটি অর্বিটার, একটি চন্দ্রযান ও চন্দ্রযানকে চাঁদের পিঠে নামানোর ও ফিরিয়ে আনার সক্ষমতা সম্পন্ন আরও দুটি যান সহায়তা করে।
এই চন্দ্রযানটি চাঁদের থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি পৃষ্ঠ খুঁড়ে ভিতর থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছে। চীন তাদের এই অভিযানে চাঁদ থেকে দুই বা চার কেজি নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক কতোটা নমুনা আনা সম্ভব হয়েছে সে তথ্য পরবর্তীতে জানা যাবে।
তথ্যসুত্র:https://m.mzamin.com/article.php?mzamin=254877