বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এবং উল্লেখযোগ্য জলপথ সুয়েজ খাল। সুয়েজ খালের মাধ্যমে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগর সংযুক্ত। সুয়েজ খালে আটকে পড়ে জাপানী মালিকানার বিশালদেহী মালবাহী জাহাজ এভার গিভেন।
৪০০ মিটার লম্বা ও ৫৯ মিটার চওড়া মালবাহী জাহাজটির রেজিস্ট্রেশন পানামার। চিন থেকে মালবাহী কন্টেনার নিয়ে নেদারল্যান্ডসের বন্দর রোটারড্যাম যাচ্ছিল জাহাজটি।
গত মঙ্গলবার সকাল ৭ টা ৪০ নাগাদ পানামা খাল দিয়ে উত্তরদিকে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে যেতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত জাহাজের দুই মুখ সুয়েজ খালের দুই পাড়ে ঠেকে যায়। আড়াআড়িভাবে সুয়েজ খাল আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে জাহাজটি।
এই ঘটনায় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এই নৌপথে জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। খালের দুই পাশে নজিরবিহীন জাহাজ জট দেখা দেয়। আল-জাজিরা বলছে, ঘটনার পর সুয়েজ খালের দুই পাশে প্রায় ১৫০টি পণ্যবাহী জাহাজ পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশ্ববাণিজ্যে সুয়েজ খালের গুরুত্ব অনেক। এটি নৌপথে এশিয়া ও ইউরোপের দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সুয়েজ খাল ব্যবহার করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে তুলনামূলক কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যায়। বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের ১২ শতাংশ সুয়েজ খাল হয়ে পরিবহন করা হয়।
মিসরের জাতীয় আয়ের বড় একটি উৎস সুয়েজ খাল। এসসিএ বলছে, গত বছর সুয়েজ খাল দিয়ে প্রায় ১৯ হাজার পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫১টির বেশি জাহাজ এ জলপথ পাড়ি দিয়েছে। গত বছর ১১৭ কোটি টন পণ্য সুয়েজ খাল দিয়ে গন্তব্যে গেছে।
সুয়েজ খালে মালবাহী জাহাজ ‘এভার গিভেন’ আটকে যাওয়ায় প্রতিদিন ৯৬০ কোটি টাকার পণ্য পরিবহন আটকে আছে। এর ফলে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি হচ্ছে ৪০ কোটি ডলার।