এস,এ,রব : জরুরী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে করোনা আক্রান্ত এক তুর্কি নাগরিক সহ তার পরিবারকে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক। ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ নাগরিককে ফিরিয়ে নেওয়ার ভিডিও ও ছবি শেয়ার করেছে । তবে ওই পরিবারের ঠিক কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তা প্রকাশ করেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ঢাকার তুরস্ক দূতাবাস।
গত রবিবার (২৪ মে) দুপুরে ওই করোনা রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি ।
শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দুটি শিশুসহ চার জনকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
করোনা আক্রান্ত তুর্কি নারীর সঙ্গে তার বাংলাদেশী স্বামী এবং তিন বছরের জমজ দুই কন্যা হুমা এবং জিয়াদ রয়েছেন বলে দুতাবাস সূত্রে জানা যায় ।
ঘটনার সূত্রপাতে বলা হয় আয়শে দিপচিন নামে এক তুর্কি নাগরিক তার টুইটারে গত ১৪ই মে এক টুইট করে বলেন , বাংলাদেশে বসবাসকারী তার বড় বোন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমার বোন ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সেখানে কোনও চিকিৎসা পাচ্ছেন না ।এমনকি তার টেস্টও করানো যাচ্ছে না । তার তিন বছরের দুই যমজ সন্তানও রয়েছে বলে তিনি টুইটারে উল্লেখ করেন । আমরা চাই তাদেরকে দ্রুত তুরস্কে নিয়ে এসে চিকিৎসা করা হউক। টুইটারে তিনি বোনের সাথে মেসেজের কথোপকথনের স্ক্রিন শট এবং তার বোনের পরিবারের ছবি শেয়ার করেন ।
ঢাকায় অবস্থিত তুরস্ক দূতাবাসের নজরে পড়ে দিপচিনের টুইটটি । ওই তুর্কি নাগরিকেকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রোয়জনীয় পদক্ষেপ নিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানায় ঢাকাস্ত তুরস্ক দুতাবাস । এবং জরুরী ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তাহারা এয়ার এম্বুলেন্স চায় । দুতাবাসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায় ঢাকাস্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান নিজেই পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন।
এর আগে এপ্রিলে সুইডেনে বসবাসরত ৪৭ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিক এমরুল্লাহ গুলুসকেন করোনায় আক্রান্ত হলেও সেখানে তিনি সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিবারের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তা তুর্কি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে উক্ত ব্যাক্তিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সুইডেন থেকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে ঢাকাস্ত তুরস্ক দুতাবাস সূত্রে জানা যায় ।
সূত্র : তুরস্ক দুতাবাস ঢাকা ও ইন্টারনেট