ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিসেপে কন্তে পদত্যাগ করেছেন। করোনাকালে সময়ে ব্যার্থতা এবং ইউরোপীয় ফান্ডের বণ্টন নিয়ে অন্য জোট এর সাথে দ্বন্দ্বের জের ধরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। ২০১৮ সালে ইতালিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন আইনের এই সাবেক অধ্যাপক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর করোনা রিকভারির জন্য ২০৯ মিলিয়ন ইউরোর ফান্ড এর ভাগাভাগি নিয়ে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরী হয়। কন্তে ইতালিকে দেওয়া ২০০ বিলিয়ন ইউরোর পুরোটাই একবারে খরচের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু জোট এর অন্য নেতারা চাচ্চিলেন ফান্ড ডিজিটাল এবং গ্রীন টেকনোলজিতেও ব্যাবহৃত হোক এবং এ নিয়েই বিরোধীতা তুমুলে উঠে।
জোটের অন্য দল সরকার থেকে সরে যাওয়ার ফলে সরকার দুর্বল হয়ে পড়ে। এমতাবস্থা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন জিসেপে কন্তে।
এর আগে ২০১৬ এর ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। সংবিধান সংস্কারের পরিকল্পনা করেছিলেন রেনজি। ওই পরিকল্পনার ওপর গণভোটে শোচনীয় পরাজয় দেখে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি। মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন রেনজি।
করোনা মহামারির কারণে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কন্তে হয়তো নতুন সরকার গঠনের পরামর্শ চাইতে পারেন।
করোনার বড় ধাক্কা লেগেছে ইউরোপের বড় অর্থনীতির দেশ ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৬ হাজার ৪২২ জন।