কানাডায় হেট ক্রাইমের শিকার হলেন মুসলিম পরিবারের চার সদস্য। অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কানাডায় ইসলামোফোবিয়ার স্থান নেই।
রোববার রাতে পরিবারের সবাই প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। বাবা, মা, মেয়ে, ছেলে এবং নানি। এমন সময় একটি ‘ট্রাক এসে তাদের ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি ট্রাক চালাচ্ছিলেন, তিনি ইচ্ছে করে এবং হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে এই পরিবারকে ধাক্কা মেরেছে।
নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন। তাদের একজনের বয়স ৭৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ৪৬ বছর। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং ৪৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ রয়েছেন।
পুলিশ বলছে ধারণা করা হচ্ছে, যারা মারা গেছেন তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এই হামলা করা হয়েছে।
এই হামলায় অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী কানাডিয়ান এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে একটি শপিং সেন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত যুবক কোন মুসলিম বিদ্বেষী গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত কি না সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।
এই ঘটনার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়েছেন। যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছে তাদের পরিবারের সাথে তিনি আছেন বলে উল্লেখ করেন মি. ট্রুডো।
তিনি আরো বলেন ”আমি লন্ডন এবং দেশের সব ”আমি লন্ডন এবং দেশের সব মুসলিমকে জানাচ্ছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের দেশে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই। এবং এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কুইবেক শহরের মসজিদে এক হামলায় ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছিল।