আতিকুর রব শাহীঃ লাদাখ সী’মা’ন্তে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মা’রাত্ম’ক সংঘ’র্ষের পরে চীন ও ভারত তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেই চলছে। এরই মধ্যে সী’মা’ন্তে চীন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে
শক্তিশালী বিমান বি’ধ্বংসী ক্ষে’পণা’স্ত্র এস-৪০০ মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। ২০১৮ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে চীন এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনে। তাছাড়া চীনের হাতে থাকা এস-৩০০ সী’মা’ন্তে মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে।
এর ফলে চাপ বাড়ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। সবচেয়ে শক্তিশালী এই ক্ষে’পণাস্ত্র ব্যবস্থার সামনে দাঁড়ানোর মত সক্ষমতা ভারতের হাতে নেই। তবে চীনের সাথে উত্তেজনার ভেতরেই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ পেতে চাইছে দেশটি।
ইতোমধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মস্কো সফর করেন যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হাতে পায়। ২০ মে থেকে লাদাখে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ও রাডার ব্যবস্থায় স্থাপনে জোর দিয়েছে ভারত। যাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) জুড়ে তারা চীনা বাহিনীর উপর তী’ক্ষ নজর রাখতে পারে।
তবে প্র’তির’ক্ষা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সী’মা’ন্তে যারাই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এগিয়ে থাকবে মূলত তাদের হাতেই সী’মা’ন্তের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এদিক থেকে চীন তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভারতের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, চীনা লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স (পিএলএএফ) এর অন্যতম প্র’তিবন্ধ’কতা হলো লাদাখ থেকে তাদের ঘাঁটিগুলো বেশ কিছু দূরে। এছাড়ও উচ্চতার কারণে, যু’দ্ধে জ্বালানি বা অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। অন্যদিকে লাদাখের আশেপাশে ভারতের বেশ কিছু ঘাঁটি রয়েছে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীর, লেহ এবং বাকী সমস্ত ঘাঁটিগুলো এখন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া ইন্দো-রাশিয়ান ক্ষে’পণা’স্ত্র ব্রাহ্ম, ইউরোপীয় ক্ষে’পণা’স্ত্র নির্মাতা এমবিডিএর স্কাল্প ক্রুজ ক্ষে’পণা’স্ত্র ছাড়াও ইসরাইলের স্পাইস ২০০০ ক্ষে’পণা’স্ত্র ভারতকে সুবিধা দিতে পারে। আর ফ্রান্স থেকে ভারতের কাছে আসছে ছয় রাফাল যু’দ্ধবিমান। আশা করা হচ্ছে ভারতের হাতে আসা রাফাল যু’দ্ধবিমানের এটাই হবে প্রথম ব্যাচ।