আগামীকাল ২৮ এ নভেম্বর চ্যানেল ১৯ এ কমিউনিটি লাইভ আড্ডায় থাকবেন বাংলাদেশ
কমিউনিটির তিন উদীয়মান উজ্জ্বল নক্ষত্র বিয়ানা খান, মেশকাত হক ও সাজিদ হোসাইন।
তিন জনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন লিনা সেন গুপ্তা
বিয়ানা খান
সুইডেনের স্টকহোমে জন্ম ও বেড়ে উঠা। ১১ বছর বয়সে পরিবারের সাথে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে
পা রাখেন। লিমেরিকে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তখন থেকেই। Monaleen National School
এবং পরে Castletroy College থেকে জুনিয়র ও লিভিং চার্ট শেষ করেন সফলতার সাথে।
পরবর্তীতে লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Pharmaceutical and Industrial Chemistry তে
গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। বিয়ানা বর্তমানে Associate QA Specialist হিসেবে স্বনামধন্য
ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানি Regeneron Pharmaceuticals এ কর্মরত।
বিয়ানা বলেন, ‘’আমি ছেলেবেলা থেকেই বিজ্ঞান বিষয়ে, বিশেষ করে কেমিস্ট্রিতে অধ্যয়ন করার
স্বপ্ন ছিল। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমার বাবা আমাকে যথেষ্ট সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন,
পাশাপাশি আমার মা আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে যথেষ্ট পরিশ্রম ও ত্যাগ শিকার করেছেন।
দুর্ভাগ্যবশত বিগত ৪ বছর আগে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। যার ফলে আমরা খুব ভেঙ্গে পড়ি।
আমার মা সংসারের দায়ভার মাথায় নেন। উনি সহকারী শেফ হিসেবে চাকুরী করে আমার পড়ালেখা
চালিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন। আমি এই ভেবে গর্বিত যে, আমি বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে
পেরেছি।‘’
বিয়ানা তাঁর কাজকে অনেক ভালোবাসেন। তিনি বলেন, ‘’আমি মানুষকে সাহায্য করতে ভালোবাসি।
আমার কাজ মানুষের জীবন বাঁচাতে ও পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে, এই ভেবেই আমি আমার কাজকে
ভালোবাসি।‘’
বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতিকে অনেক ভালোবাসেন বিয়ানা। তিনি প্রত্যেক ২ বছর
অন্তর বাংলাদেশ ভ্রমণের চেষ্টা করেন। পছন্দ করেন দেখতে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশী
কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পরিব্যপ্তি দেখতে। আরো চান বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে মেলবন্ধন। যাতে
করে একে অন্যের সুখ, দুঃখ, ধারণাগুলো শেয়ার করতে পারা যায়।
ছোটবেলা থেকেই বিয়ানা ছিলেন অনেক কর্মমুখর ও ক্রিয়াশীল। ফুটবল, ব্যাডমিন্টন ও পিংপং
খেলেই কাটিয়েছেন শৈশব, এখনো সুযোগ পেলে হাতছাড়া করতে চান না।
মেশকাত হক
জন্ম বরিশাল, বাংলাদেশে। ২ বছর বয়সেই পরিবারের সাথে পাড়ি জমান আয়ারল্যান্ডে। বর্তমানে
ডাবলিনেই স্থায়ী নিবাস। সম্পূর্ণ শিক্ষাজীবনই সম্পন্ন করেন আয়ারল্যান্ডে। তিনি
Presentation Primary School Terenure ও Alexandra College Miltown থেকে যথাক্রমে
জুনিয়র ও লিভিং চার্ট সম্পন্ন করেন। এরপর University College Dublin থেকে Medicine এর
উপর গ্রাজুয়েশন করেন। মেশকাত বর্তমানে St Vincent’s University Hospital Dublin এ
ডাক্তার হিসেবে কর্তব্যরত। তিনি হাসপাতালের Senior House Officer (HSO) হিসেবে
দায়িত্বরত। সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পেরে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন।
পেশাগত জীবনের বাহিরেও মেশকাত ব্যাস্ত সময় পার করেন। অবসর সময়ে ছুটে বেড়ান শহর থেকে
শহরে। বাহির উনাকে প্রচণ্ড রকম টানে, পছন্দ করেন পর্বতারোহণ। বৃষ্টির দিনে ছবি আঁকতে
এবং ফটোগ্রাফীতেও রয়েছে প্রচণ্ড শখ।
সাজিদ হোসাইন
সাজিদ হোসাইন Dublin Institute of Technology (DIT) থেকে Automobile Engineering &
Transport Engineering এর উপর গ্রাজুয়েট হন। তিনি বর্তমানে EUV Engineer হিসেবে
ASML এ কর্মরত আছেন। তার কাজের পরিধি Photolightography নিয়ে।
সাজিদ ২০১৫ সালে লিভিং সার্টিফিকেট ও ২০১৩ সালে জুনিওর সার্টিফিকেট পাস করেন COLAISTE CHOLIM স্কুল সোর্ডস থেকে।।
তিনি ফুটবল খেলা ও ভ্রমণ পছন্দ করেন। সোর্ডস রোভার্সের হয়ে তিনি সাত বছর ফুটবল খেলেছেন। তিনি কোম্পানি থেকে ট্রিনিং এর জন্য তাইওয়ান ও নেদারল্যান্ডস ভ্রমণে গিয়েছেন এবং আগামী বছর কোরিয়া ও আমেরিকা যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।
তাঁর পিতা সাহাদাত হোসেন আয়ারল্যান্ডে আসেন ২০০১ সালে এবং পরবর্তী বছর ২০০২ সালে তারা স্বপরিবারে আয়ারল্যান্ডে আসেন। প্রায় প্রতি বছরই দেশ সফরে যাওয়া হয়।
বিস্তারিত জানার জন্য সবাইকে আগামীকাল চ্যানেল ১৯ এ চোখ রাখার জন্য আহবান করা হলো।