বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে শিক্ষা কমিশন এবং শিক্ষা নীতি বলতে যাহা কিছু রয়েছে, সব কিছু দলীয় কমিশন এবং দলীয় শিক্ষা নীতি বললে ভুল হবেনা। তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের হাতে শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিলে যাহা হয়,সেটাই বর্তমানে ঘটছে দেশে। কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টার জন্য শাসকগোষ্টি সেখানে তাদের পছন্দমত লোকদের বসায়। এই ধরণের শাসন ব্যবস্থা শাসকরা যেহেতু জনগণকে জবাবদীহিতার তেমন প্রয়োজন মনে করেনা, তাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসা ব্যক্তিদের যোগ্যতা ও তাদের দক্ষতা নিয়ে সরকারকে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকেনা জনগণের।
অতীতে পাঠ্য পুস্তকে ভুল-ভ্রান্তি ছিল,কোনো সরকারই জাতীয় আকাঙ্খার শিক্ষানীতি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও দিতে পারেনি। এই পচনের যাত্রা শুরু হয়েছিল কুদরত – ই- খোদা নামের গজবী খোদা শিক্ষা কমিশন দিয়ে। তারপর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে টালমাতাল অবস্হা। কিন্তুু এই বারের ভূল-ভ্রান্তির রেকর্ড অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে । পাঠ্য বইয়ে তথ্যগত ভূল, বিতর্কিত ইতিহাস, ধর্মীয় উস্কানি এবং বিবর্তনবাদ বিতর্কের মাত্রার সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে এবার চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ। যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এই চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে, তিনি একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারী ব্যক্তি এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ওনার তো চৌর্যবৃত্তির সংজ্ঞা ভালো করে জানার কথা।
তবে দুর্নীতি এবং চুরি যেখানে একটি দেশের জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নতির বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, সেই দেশে পাঠ্যপুস্তকে ছোটো খাটো চৌর্যবৃত্তির ঘটনা এমন বড় কোনো বিষয় নয়। বিদেশী সিনেমার গল্পের কাহিনী চুরি করে শিশুদের কাছে পরিচিত পাওয়া বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ডঃ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে উক্ত ফিল্ডের অন্যান্য লেখকদের অভিযোগ থাকা সত্বেও যখন ওনাকে দিয়ে সম্পাদনার কাজ করানো হয়, এবং তারই অধীনে থাকা একজন অধ্যাপকের চৌর্যবৃত্তির ঘটনা ধরা পরে, তখন পাঠ্য বইয়ের বিতর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে তুঙ্গে থাকাটা স্বাভাবিক। এরফলে ডঃ জাফর ইকবালের শিক্ষা, জ্ঞান -গবেষণার পান্ডিত্য যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তেমনি তার ব্যক্তিগত ইমেজ এখন খাদের কেনারায় উপনীত।
উড়াল কন্যা হিসেবে খ্যাত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে প্রচুর সমালোচনা রয়েছে। দীপু মনির ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদপুরে তার ভাইয়ের জমি দখলের ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিও পুরো দেশবাসি শুনেছে। ভিডিও ভাইরালের এক মাসের ভেতর ডা. দীপু মনির রোষানলে পড়ে চাঁদপুরের সেই ডিসি বেচারার অন্যত্র বদলি হতে হয়েছে। সততার প্রশ্নে সদা হাস্যোজ্জ্বল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যে দরবেশ নন, সেটা জাতির কাছে পানির মত স্বচ্ছ। এই উড়াল কন্যা ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্হায় ১৮৭টি সফরের মাধ্যমে ৪০০ দিনের বিদেশ সফরের এক অনন্য রের্কড গড়েছিলেন। সরকারি সফরের অন্তরালে বিদেশে থাকা তার সন্তানদের দেখা শুনার দায়িত্বটা বেশ ভালো ভাবে তিনি পালন করতে পেরেছেন।
ইউরোপ-আমেরিকার প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দীপু মনির মত এত সফর করেন নাই। এই উড়াল কূটনীতি নিয়ে তার অনুপস্থিতিতে সংসদে তুমুল আলোচনা চলাকালে বলা হয়েছিল,- ঢাকায় ব্রেকফাস্ট, দিল্লিতে লাঞ্চ আর নিউ ইয়র্কে ডিনার করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী অহেতুক বিদেশ সফর করে জনগণের অর্থের অপচয় করছেন। কিন্তুু কে শুনে কার কথা! বিড়ালের গলায় কে বাঁধবে ঘন্টা ?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তার অর্জন কি ছিলো? সেটি নিশ্চিত করে বলতে না পারা গেলেও, পশ্চিমাদের কাছ থেকে সমকামিতা আমদানি করে প্রিয় বাংলাদেশকে জাহান্নামের টুকরো বানাতে আজ তিনি যে তৎপর হয়ে উঠেছেন সেটি বলা যায় অনেকটা নিশ্চিত করে।
২০১৩ সালে ডা. দীপু মনি জেনেভাতে এক সম্মেলনে বাংলাদেশে LGBT স্বাভাবিককরণের ব্যাপারে তিনি পশ্চিমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। সেই দিন দীপু মনি বলেছিলেন, তার সরকার এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে কি তাহলে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রীতে রুপান্তর হতে দেখা গিয়েছে পরবর্তীতে ?
২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশকে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে ৪২৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয় । সাদা চোখে উন্নয়ন দেখা গেলেও ইউরোপীয়দের এত বড় অনুদানের পিছনে অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কি ? সেটি মনে হয় জাতির বুঝতে এখন আর অসুবিধা হবার হবার কথা নয়। সমকামিতার বীজ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বপন হয়ে গেছে।এখন অঙ্কুরোদগম হয়ে চারপাশে ডাল- পালা গজাবার পালা। সুতরাং সময় থাকতে যদি দল-মত নির্বিশেষে এর প্রতিরোধে কার্যত ভূমিকা পালন না করা হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম একটি ভয়াবহ পাপাচারের সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়ে উঠবে। এই গর্হিত পাপের জন্য হযরত লূত ( আঃ ) এর পুরো জাতি যে ধ্বংস হয়েছিল, সেটি ভুলে গেলে চলবে না।
এক সময় সামাজিক স্বীকৃতির জন্য তাদেরকে বিবাহের বৈধতা দেবার প্রশ্ন উঠবে।এই বৈধতার প্রশ্নে দেশের তথাকতিথ নারীবাদিদের সবার পূর্বে রাজপথে দেখা যাবে। এক্ষেত্রে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জোড়ালো ভূমিকা রাখবে। তাই রাজনৈতিক বিভেদ রাজনীতির জায়গায় রেখে ধর্মীয় মুল্যাবোধ ধ্বংসের এই ষড়ষন্ত্র রুখতে এক কাতারে সকল মুসলমানদের স্বোচ্ছার হতে হবে ।
স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সর্ম্পকের বিপরীতে পশ্চিমা সভ্যতায় বিকশিত এই অসুস্হ মানসিকতার বিকৃতি নিয়ে এখন খোদ পশ্চিমারাই উদ্বিগ্ন। কয়েক দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংক্রান্ত একটি খবরে দেখলাম যে, হাই স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের স্কুলে দিয়ে আসছেন এবং স্কুল ছুটির পর বাসায় নিয়ে আসছেন তাদের পিতা- মাতারা। স্কুল থেকে বাসার দূরত্বও বেশি নয়। কিন্তুু সন্তানদের যতটা সম্ভব মস্তিস্ক বিকৃত এই অসুস্হদের সঙ্গ থেকে দূরে রাখতে তাদের এই প্রচেষ্টা। আর্দশ সন্তান তৈরী করতে চাইলে বৈরী পরিবেশে সন্তানদের সুরক্ষার ব্যবস্হাটা পিতা মাতাকে করতে হবে সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়।
নতুন পাঠ্যপুস্তক ২০২৩ -এ অজস্র যুক্তিযুক্ত বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে পাঠপুস্তকে প্রধানমন্ত্রীর অহরহ ছবি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে কোনো সিটিং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ তার পরিবারের সদস্যদের ছবি পাঠ্য পুস্তকে এভাবে থাকে বলে অন্তত আমার জানা নেই। এই নিয়ে বিগত কয়েকদিনে অনলাইনে প্রচুর ঘাটাঘাটি করেও এর কোনো উত্তর পাইনি।
কিন্তুু বাংলাদেশের কোমলমতি ছেলে -মেয়েদের এই অখাদ্য ঘিলানো হচ্ছে কেবলমাত্র অসুস্হ রাজনীতির কারণে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি কেনো পাঠ্যপুস্তকে থাকবে ? সেটির বা যুক্তি কি? রয়েছে এমন অনেক প্রশ্ন?
সপ্তম শ্রেণীর বইয়ে women in government নামের একটি অধ্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পীকার শিরিন শারমিন এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ছবি সহ তাদের কথা বলা হয়েছে। পড়লে মনে হবে পুরোটাই যেনো ক্ষমতাসীন আওয়ামি ব্যাটালিয়ানের আদ্যেপান্ত। অথচ এই অধ্যায়ে স্বাধীনতার পর থেকে যে সকল মহিয়ান নারীরা সরকারের হয়ে কাজ করেছেন, তাদের নাম থাকার কথা ছিল। এটা হতে পারতো ইতিহাসের সঠিক অনুধাবন।
কিন্তুু পক্ষপাততুষ্ট লেখকরা দলীয়ভাবে কতটা অন্ধ হলে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে এই ধরণের অধ্যায় লিখতে পারেন ? এটি তার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভাবে শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ ঠিক, কিন্তুু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম খালেদা জিয়ার নাম বাদ দিয়ে কি প্রকৃত ইতিহাস লেখা সম্ভব ?
ষষ্ট শ্রেণীর নতুন পাঠ্য বইয়ে “নৌকা” নিয়ে একটি প্রবন্ধ রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের গ্রামীন বাহন হিসেবে নৌকার গুনগান করা হয়েছে। আচ্ছা গ্রামীন বাহন কি নৌকাই ছিলো? রিক্সা, গরুর গাড়ি এগুলো কি ছিলোনা ? তবে কেবল নৌকাই কেনো হবে? তাছাড়া নৌকার মাহাত্ম্য পড়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের কি লাভ হবে? সরাসরি যেহেতু বলা সম্ভব নয় তাই একটু ঘুরিয়ে পেছিয়ে কোমলমতি শিশুদের মস্তিস্কে ঢুকানো হচ্ছে নৌকা আওয়ামিলীগের দলীয় প্রতিক। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিক যদি নৌকা হয় তাহলে কৃষিমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিক ধানের শীষ ও লাঙলের গল্প ছাপা হলে দোষটা কি ছিলো?
বাংলাদেশের মেইন স্ট্রিম সেক্যুলার বুদ্ধিজীবিরা প্রায়ই পিছিয়ে পড়া আফগানিস্তানের উদহারণ ঠেনে দেশের ইসলামপন্হীদের হেয় প্রতিপন্ন করেন। অথচ যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানরা আজ স্পোর্টস কার তৈরী করে সারা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। কিন্তুু বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে সকল পরিবেশ অনুবূলে থাকা সত্বেও এই ধরণের একটি কার বানাতে কি সক্ষম হয়েছে ? শিক্ষার্থীদের যেখানে ড্রোন- রাফেল যুদ্ধ বিমান তৈরীর গল্প শুনানোর কথা, শিক্ষার্থীদের ভেতর যেখানে মহাকাশ জয়ের অদম্য স্বপ্ন জাগানোর কথা, যেখানে সাগরের তল দেশ জয়ের গল্প পাঠ্যপুস্তকে থাকার কথা, সেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীর স্বপ্নদ্রষ্টারা এই যুগে এসে নৌকা তৈরীর গল্প পড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। এটা কি সৃজনশীল শিক্ষা?
প্রায় ৭৬৬ বছর মুসলিমরা ভারত বর্ষ শাসন করেছে।এই ৭৬৬ বছরে মুসলিম শাসকদের উল্লেখযোগ্য সুশাসনের এমন কোনো ঘটনা পাঠ্য বইয়ের ইতিহাসে স্হান পাবার মতো কি ছিলোনা ? তাহলে নেই কেনো? কতিথ বোরকার গল্পের বিপরীতে পর্দা করা মা-বোনদের জীবন বদলে দেবার মত হাজার-লাখো গল্প রয়েছে আমাদের সমাজে, সেখান থেকে কি অন্তত একটি গল্প দেওয়া যেতে পারতো না পাঠ্য বইয়ে? তাহলে কেনো দেওয়া হয়নি ? যে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা এতো গর্ব করি, এতো চোখের জল ফেলি, সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদে দিতে কি লজ্জা হতো আমাদের ?
মৃসলিম শাসকদের চরিত্র হনন, শরীফ থেকে শরীফা নামের সমকামিতার উদ্ভট চিন্তা, বিবর্তনবাদ নামের অপ্রমাণিত বৈজ্ঞানিক বিতর্কিত তথ্য, নারীদের পবিত্র পর্দার বিকৃত উপস্হাপন, নবী করিম (সাঃ) এর সুন্নত দাড়ির অবমাননা, এই সবগুলো বাঙালি মুসলিম সত্বা ধংসের একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা।পাঠ্যপুস্তকে এত ভুলের ছড়াছড়ি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়নি। এইগুলোর সাথে একটি ঐতিহাসিক যোগসূত্র আছে, রয়েছে তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশ্য প্রণোদিত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা। খুব গভীর ভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে,বইয়ের ভেতর ইতিহাসে হিন্দুু শাসকদের দেশপ্রেমিক হিসেবে মহিমান্বিত করা হয়েছে, পক্ষান্তরে মুসলিম শাসকদের বহিরাগত দুস্য হিসেবে চিত্রায়ন করা হয়েছে।অপরদিকে ঔপনিবেশিক আন্দোলনে হাযী শরীয়ত উল্লাহ, তিতুমীরের ভূমিকা সহ ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে মুসলিম জাতীয়তাবাদী বরণ্য ব্যক্তিদের উপেক্ষা করা হয়েছে, যারা আন্দোলনের মাধ্যমে ভারত বর্ষে বাঙালি জাতীয়তাবোধের দৃঢ় ভিত্তি রচনা করেছিলেন। বইয়ের প্রচ্ছদে তদ্রুপ মুসলিম সংস্কৃতির স্হাপনাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ভেতর ও বাহির সবখানে মুসলিমরা অগ্রাহ্য। ইতিহাস চর্চা যদি এই ভাবে চলতে থাকে, তবে নিশ্চিত বাঙালি মুসলিমরা নিজেদের আইডেন্টি ক্রাইসেসে ভোগবে নিকট ভবিষ্যৎে।