ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটি
ওবায়দুর রহমান রুহেল: গত ২০২০ সাল ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য ছিল এক বিরাট ট্রাজেডির সাল। কমিউনিটির চেয়ারপার্সন ডাঃ মুহাম্মাদ রফিক উল্লাহঽর মাতৃবিয়োগের মধ্য দিয়ে শোকাহত ২০২০ সালের যাত্রা শুরু হয়, কমিউনিটির ভাইস চেয়ারপার্সন ফরিদ খাঁনের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর সহধর্মিণীর হাসপাতালের দিনগুলো ছিল বিভীষিকাময়।
করোনায় নাকাল সমস্ত আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশী কমিউনিটির মতো ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটিও তাদের কার্যক্রম ও অনুষ্ঠানাদী সীমিত পরিসরে নানাবিধ বিধিনিষেধ মেনেই পালন করেছে।উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে ছিল জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে স্থানীয় ডোনেগাল ইন্টারকালচারাল প্লাটফর্মের সাথে একাত্ম হয়ে “ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার ” এ অংশগ্রহণ।
কমিউনিটির চেয়ারপার্সন ডাঃমুহাম্মদ রফিক উল্লাহঽর নেতৃত্বে স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ যেমন চিলি শেখর, শাপলা ও সাবওয়েঽর পক্ষ থেকে লেটারকিনি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত সম্মুখ সারির করোনা মহামারীর চিকিৎসক সৈনিক ডাক্তার, নার্স ও মিডওয়াইভদের সম্মানার্থে বিশেষ খাবার বিতরণ, স্থানীয় ডোনেগাল ভলেন্টিয়ার সেন্টারের সাথে যৌথভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ, ডোনেগাল ট্রাভেলার প্রজেক্টের সাথে যৌথভাবে ইনডিজিনাস ল্যাংগুয়েজধারীদের নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ভিডিও ক্লীপ নির্মাণ, ভার্চুয়াল ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন ও মিলাদ মাহফিল উল্লেখযোগ্য।
সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন জনাব শামীম আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব সাজন মিয়া ও জনাব মাজহারুল ঝিনুকের খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ ছিল প্রশংসনীয় উদ্যোগ এছাড়া কমিউনিটির সেক্রেটারি জনাব জুবায়ের আহমেদ সোহাগের স্বেচ্ছাশ্রমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ঔষধপত্র মানুষের বাসায় ডেলিভারি করার মতো কার্যক্রমগুলো ছিল বাহবা পাবার মতো।