করোনার সংখ্যা এখনো ক্রমবর্ধমান এবং মৃত্যুর সংখ্যাও গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনের ঝুঁকি কমাতে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে লকডাউনের। করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আয়ারল্যান্ড সরকার লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অটল। আগামী মে পর্যন্ত মানুষের চলাচলে সীমাবদ্ধতা রাখার সম্ভাবনার কথা ব্যাক্ত করে সরকার।
লকডাউন মানে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ মানে চাকুরী বন্ধ। করোনাকালীন সময়ে চাকুরী হারানোদেরকে সরকার গত মার্চ মাস থেকেই সহায়তা দিয়ে আসতেছিল। এই সহায়তার সময় বিভিন্ন সময়ে বর্ধিত করা হয়েছিল। বর্তমান নিয়মানুযায়ী আগামী মার্চ এর ৩১ তারিখে ছিল কোভিড পেমেন্টের শেষ দিন।
কিন্তু অনিশ্চিত লকডাউনের কারণে সোশ্যাল প্রটেকশনের মন্ত্রী PUP পেমেন্টের সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী সামার পর্যন্ত বর্ধনের আশ্বাস প্রদান করেন। যা বাস্তবিক অর্থেই চাকুরিচ্যুতদের মাঝে স্বস্তি প্রদান করতে সমর্থ হবে। মিনিস্টার জানান, বাস্তবিক অর্থে আমাদেরকে বুঝতে হবে যে আগামী কিছু সময় পর্যন্ত রেস্ট্রিকশন বজায় থাকবে।
এ পর্যন্ত সরকার মোট ৬ বিলিয়ন ইউরো পেন্ডেমিক পেমেন্ট এবং প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ইউরো ওয়েজ সাবসিডি স্কিমে খরচ করেছে।
এই মুহূর্তের হিসেবে ৪৮০ হাজারেরও উপরে মানুষ পেন্ডেমিক পেমেন্ট গ্রহণ করতেছে। ৭০০০ এরও উপর মানুষ বর্ধিত বেনিফিট পাচ্ছে অসুস্থতার কারণে, যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছে এবং সেলফ আইসোলেট রয়েছে।