২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নাগরিকত্বের আবেদনের ক্ষেত্রে স্কোরকার্ড পদ্ধতি চালু হচ্ছে আয়ারল্যান্ডে। 🇮🇪
নাগরিকত্ব আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আবেদনকারীর পরিচয় এবং বসবাসের প্রয়োজনীয় প্রমাণের সংখ্যা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন স্কোরকার্ড এই পদ্ধতিতে।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ার এই স্কোরকার্ড পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদনকারীকে তার পরিচয় এবং আয়ারল্যান্ডে বসবাসের সকল তথ্য ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস বরাবর যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে ।
বসবাসের প্রমাণের জন্য আবেদনকারীকে প্রতি বছর ১৫০ পয়েন্টের স্কোর করতে হবে এবং সেই পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে প্রতিবছর বাসস্হানের উপযুক্ত প্রমাণপত্র জমা দেবার মাধ্যমে। এ-ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
তাছাড়া একজন আবেদনকারীকে অবশ্যি তার পরিচয় প্রতিষ্টার জন্য মোঠ ১৫০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে ।
Health service executive বা স্বেচ্ছাসেবী হাসপাতালে নিযুক্ত ডাক্তারদের “মেডিকেল প্র্যাকটিশনার এমপ্লয়মেন্ট হিস্ট্রির সারাংশ”এ-ক্ষেত্রে বসবাসের জন্য প্রমাণ হিসাবে গণ্য হবে।
নাগরিকত্বের আবেদনে উল্লেখিত সময়কালের জন্য গণনাযোগ্য বসবাসের পর্যাপ্ত প্রমাণ যেহেতু নিশ্চিত করার দায়িত্ব হচ্ছে আবেদনকারীর,
সেহেতু আবেদন জমা হবার পর প্রাথমিক পর্যায়ে আর কোনো তথ্যের ঘাটতি রয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত করবে এই স্কোরকার্ড পদ্ধতি।
নতুন এই পদ্ধতি চালু হবার ফলে ইতিপূর্বে বসবাসের সকল প্রমাণপত্র একসাথে পাঠানো থেকে ঝামেলামুক্ত সহ আবেদন দ্রুত সম্পন্ন হবার মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষামান থাকা সময়ের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে জাস্টিস মিনিস্টার অতি সহজে নিশ্চিত হবেন যে, আইরিশ নাগরিকত্ব লাভের জন্য আবেদনকারী আয়ারল্যান্ডে তার নির্ধারিত পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত বৈধভাবে বসবাস করেছেন কি না ? যদি এ-ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় থাকে তাহলে জাস্টিস মিনিস্টার কর্তৃক তিনি পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অবগত হবেন।
এ-সংক্রান্ত এতঠুকু তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের পরবর্তী তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ধন্যবাদ
এস,এ,রব
পোর্টলিস্
তথ্যসুত্র:
Scorecard approach being introduced for Citizenship Applications from January 2022