নীতিভ্রম (৪র্থ পর্ব)
প্রকৃত উন্নয়ন
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো, জানি! তারপরও আলতো করে একটু সুড়সুড়ি।
উন্নত ও অনুন্নত দেশের মধ্যকার ফারাক বা ব্যবধান অতি সহজে অনুমেয়। অবকাঠামো ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার দাড়িপাল্লাই প্রকৃত উন্নয়নের সূচক। হরদম যত্রতত্র অপরিকল্পিত প্রাসাদ অট্টালিকা বা যান চলাচলের রাস্তাঘাট তরতর গড়ে উঠাই উন্নয়নের উপমা নয়। নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার নূন্যতম লঙ্ঘিত হলে উন্নয়নের সূচক প্রশ্নবিদ্ধ ও ভঙ্গুর হয়। তবে, যথাযথ উন্নয়নের পাশাপাশি মানবাধিকার সংরক্ষিত হলে সোনায় সোহাগা। বিশ্বে ইউরোপ আমেরিকা সহ অনেক সভ্য জাতি উন্নত দেশের নজির।
আয়ারল্যান্ডের একটি উপমা উত্থাপন করা যাক-গণতান্ত্রিক এই দেশে কোয়ালিশন সরকারের ধারা অব্যাহত। সর্বশেষ নির্বাচনের প্রাক্কালে দ্বিতীয় বৃহত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ঘোষনা দেয় যে, তারা প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশী আসন পেলে পানির বিল আদায় করা হবে না। বিলিয়ন মুদ্রা ব্যয়ে গড়ে উঠা পানির বিল তৈরীর অবকাঠামো প্রস্তুত অথচ নির্বাচনের পর আচমকা স্তব্ধ হয়ে গেল। যেমন প্রতিশ্রুতি ঠিক তেমনই বাস্তবায়ন। জন্ম থেকে এই দেশে পানির বিল পরিশোধের রেওয়াজ ছিল না। এরই ধারাবাহিকতা এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অব্যাহত রয়ে গেল।
বাংলাদেশে অনেক নির্বাচন হয়েছে, অনেক প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে। নির্বাচন শেষে হলফকৃত ওয়াদা কে কতটুকুন পূরন করেছেন? মনুষ্যত্বের আমূল পরিবর্তন ছাড়া সত্যিকারের উন্নয়ন অসম্ভব, কল্পনা করা বিলাসিতা মাত্র।
এম এ বুলবুল ইসলাম,
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।