আফ্রিকার যে সকল নেতারা সাহস করে উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের সকলকেই বরণ করতে হয়েছিল করুণ মৃত্যু। ফ্রান্স তাদের সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনার জন্য হুমকি তৈরি করা রাষ্ট্রপতিদের নির্মূল করতে কখনও দ্বিধা বোধ করেনি। দেশটি আফ্রিকার রাষ্ট্রপতিদের হত্যার জন্য নিয়মিতভাবে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়েছে।
রাষ্ট্রনেতাদের হত্যাকাণ্ডের মতো এমন নোংরা কাজে খুব সক্রিয় ছিল দ্যা এক্সটার্নাল ডকুমেন্টেশন এন্ড এন্টি এস্পিওনেজ (এসডিইসিই), ডিজিএসই এবং ডিএসটি নামক তিনটি ফরাসি ইন্টিলিজেন্ট পরিষেবা প্রতিষ্ঠান।
ফ্রান্স সর্বদা চেয়েছিল তাদের উপনিবেশগুলো যেন তাদের শাসনে থাকে। তবে থমাস শঙ্করার মতো রাষ্ট্রপতি যারা ফ্রান্সের প্রভাবের অধীনে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন তাদেরই বরণ করতে হয়েছিল সেই করুণ মৃত্যু আর ফ্রান্স সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে বড় ভূমিকা নিয়েছিল।
১৯৬৩ সাল থেকে যে সকল আফ্রিকান রাষ্ট্রপতিরা ফ্রান্সের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন :
১৯৬৩ সাল : সিলভানাস ওলিম্পিও, রাষ্ট্রপতি টোগো
১৯৬৬ সাল : জন আগুই আইরনসি, রাষ্ট্রপতি নাইজেরিয়া
১৯৬৯ সাল : আবদিরচিড-আলি শর্মেক, রাষ্ট্রপতি সোমালিয়া
১৯৭২ সাল : আবেদ আমানী করিম, রাষ্ট্রপতি জাঞ্জিবার
১৯৭৫ সাল : রিচার্ড রতসিমন্দ্রাভা, রাষ্ট্রপতি মাদাগাস্কার
১৯৭৫ সাল : ফ্রানয়েস এনগার্টা, রাষ্ট্রপতি চাদ
১৯৭৬ সাল : মুরতলা রামাত মোহাম্মদ, রাষ্ট্রপতি নাইজেরিয়া
১৯৭৭ সাল : মেরিন, রষ্ট্রপতি কঙ্গো-ব্রাজাভিলের
১৯৭৭ সাল : তিফেরি বানটে, রাষ্ট্রপতি ইথিওপিয়া
১৯৮১ সাল : আনোয়ার এল সাদাত, রাষ্ট্রপতি মিশর
১৯৮১ সাল : উইলিয়াম রিচার্ড টলবার্ট, রাষ্ট্রপতি লাইবেরিয়া
১৯৮৭ সাল : থমাস শঙ্কর, রাষ্ট্রপতি বুরকিনা-ফ্যাসো
১৯৮৯ সাল : আহমেদ আব্দুল্লাহ, রাষ্ট্রপতি কমোরস
১৯৮৯ সাল : সামুয়েল-ক্যানিয়ন ডু, রাষ্ট্রপতি লাইবেরিয়ার
১৯৯২ সাল : মোহাম্মদ বুদিয়াফ, রাষ্ট্রপতি আলজেরিয়া
১৯৯৩ সাল : মেলচিয়র এনডাডে, রাষ্ট্রপতি বুরুন্ডি
১৯৯৪ সাল : সাইপ্রাইন নটরয়ামিরা, রাষ্ট্রপতি বুরুন্ডি
১৯৯৪ সাল : জুভেনাল হাবিয়ারিমানা, রাষ্ট্রপতি রুয়ান্ডার
১৯৯৯ সাল : ইব্রাহিম বারারি মইনসারা, রাষ্ট্রপতি নাগারের
২০০১ সাল : লরেন্ট-ডিজায়ারড, রাষ্ট্রপতি কঙ্গো-কিনশা
২০০৯ সাল : জো বার্নার্ডো ভায়েরা, রাষ্ট্রপতি গিনি-বিসাউ
২০১১ সাল : গাদ্দাফি, রাষ্ট্রপতি লিবিয়া