বাংলাদেশ ২৮শে অক্টোবর লাভ-ক্ষতি
প্রথমেই উল্লেখ করি কোন জীবন হানি সমর্থন যোগ্য নয়, সেটা বাংলাদেশের বিএনপির নেতা হউক অথবা পুলিশ কর্মকতা হউক।
ফিলিস্তানি গাজা বাসীর উপর ইজরাইলির গনহত্যা তেমন কোন প্রতিবাদ নাই শুধু কাগজে কলমে কারন,
ইজরাইলির আছে অস্ত্র- আছে অর্থ, আছে মিডিয়া যা বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করার পর তা বিশ্ববাসীকে বুঝানোর চেষ্টা হামাস রা হচ্ছে সন্ত্রাসী। হামাস এর প্রতিবাদী মানুষের হাতে আছে পাথর আর তার বিপরতী আছে লাইসেন্স ধারী মারনাস্ত্র। হামাস চায় তাদের অধীকার যা তাদের নায্য প্রাপ্ত।
ঠিক একই ঘটনা ঘটছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে, সকল বিরোধীদল চাইছে তাদের ভোটের অধীকার যা প্রতিটি বাংলাদেশীর নায্য অধীকার।
বাংলাদেশের ৫২ বছর পরো দেশের মানুষ গত ১৫ বছর ধরে নিজের একটি ভোট দেওয়ার অধীকার হারিয়েছে । ভোটের অধীকার ফিরে পাওয়ার দাবীতে গত ২৮ সে অক্টোবর রাজধানিতে মহাসমাবেশের আয়োজন করে সব বিরোধী দল, কিন্তু সবার নজর ছিল বিএনপির মিটিং এর দিকে, জামাত অনুমতি ছাড়া মিটিং করার ঘোষন দেওয়া সবাই জানতো সেখানে গোলমাল হবেই, করন পুলিশ বলেছিল তাদেরকে দাড়াতেই দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশের আন্দোলন মানে হরতাল, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা, অফিস গামী মানুষদের দিগম্বর (ল্যাংটা করা) বাসে আগুন দেওয়া। চিরাচরিত এইরুপ আন্দোলন থেকে বাহির হয়ে বিএনপি অহিংস আন্দোলন দেশে বিদেশে অনেক প্রসংসা পেয়েছে, অহিংস আন্দোলনের রুপকার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।
অহিংস আন্দোলন যে এতো শক্তিশালী হয় তার প্রমান দেশবাসী দেখেছে, আমরা দেখেছি টংগী বিশ্ব ইশতেমায় মানুষ ২/৩ দিন আগে আসে, বিএনপির মিটিং ২/৩ দিন আগে আসার জন্য পদে পদে পুলিশি হয়রানি, আঃলিগের হয়রানী, বাস-ট্রেন-লঞ্চ বন্ধ করে বাংদেশের সাধারন মানুষকে আঃ লিগ আটকাতে পারে নাই। কলাগাছের ভেলা বানিয়ে মানুষ বিএনপির মিটিং আসার কারন নিজের একটি ভোট দেওয়ার অধীকার প্রতিষ্ঠা করা। মনে হয় এক নতুন মুক্তি যুদ্ধ।
আমার জানা নাই পুলিশ আইনে আছে কি না সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে, যদি তাই লাগে কবে থেকে ? আমি ৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে আন্দোলন করেছি কোন দিন শুনি নাই সমাবেশ করতে পুলিশের পারমিশন নিতে হবে, যদি লাগতোই সেই সমইয় আঃলিগ – বিএনপি সচিবালয় ঘেড়াও করে সচিবালয় ওয়াল ভেঙ্গে ছিল, সেই দিনও এরশাদ সরকার রষ্ট্রবিরোধী কেস দেয় নাই।
আঃলিগ বিনা ভোটের নির্বাচন- দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা চালিয়ে যাওয়ার লোভে এবার ২০২৪ একই ভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। আঃলিগ বহিঃবিশ্ব বিশেষ করে আমেরিকা-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর চাপে বেশ বেকায়দায় আছে, এ থেকে উত্তরনের জন্য ২৮ সে অক্টোবর এক হীন চক্রান্ত আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত যার ফলাফল আঃলীগের পক্ষে গেছে।
কিন্তু দুঃর্ভাগ্য আঃলীগের আস্তে আস্তে আঃলীগ নীল নকশা বের হতে হচ্ছে, আঃলীগ চেয়েছিল ২৮ অক্টোবরে মন্দির -চার্চ এর উপর হামলা করে ভারত- আমেরিকা-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সার্পোট বিএনপির উপর থেকে প্রত্যাহার করে নিবে। যেমন ১৮ নির্বাচনে জামাতকে ইসু করে ভারত পশ্চিমা বিশ্বকে তাদের পক্ষে নিয়েছিল। (সুত্র- পুলিশের ওয়ালেস এর কথাবাত্রা)
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন এর তকমা দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ হত্যা, বাসে আগুন দিয়ে আঃলিগ ব্যর্থ প্রমান করার চেষ্টা চালিয়েছে । আসুন এই প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করি-
১। গাজীপুর থেকে আঃলীগ বাস নিয়ে তাদের জনসভায় যাবে ভাল কথা কিন্তু কেন তারা বিএনপির জনসভার কাছ দিয়ে (কাকরাইল )দিয়ে যাবে ?? গোলমালের সুন্ত্র এখান থেকেই-
এই বাস গুলিকে তো মগবাজার থেকে বাংলামটর বা মিনটু রোড দিয়ে সাহাবাগ হয়ে নিরাপদ ভাবে যাওয়া সম্ভব ছিল।
তাদের নীল নকশাই ছিল পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া লাগানো, যা চেয়েছিল আঃলিগ সেই ফাদে বিএনপি পড়ে গেছে।
মেয়র তাপস বলেছিল হেফাজত এর মত হবে হয়েছে ও তাই। হেফাজতকে মিটিং করতে দেয় নাই বিএনপিকে মিটং করতে দেয় নাই।
২। প্রধান বিচার পতির বাসভবন , বঙ্গভবন গেটে পুলিশ পাহাড়া থাকে অস্ত্র সহ, যখন বিক্ষোপ কারীরা গেট ভেংগে ফেলে, কোথায় ছিল পুলিশ ?? কেন গুলিকরে নাই তাদের ??পাহাড়াদার পুলিশ কি লুডু খেলছিল ??কার নির্দেশে গুলি করে নাই তা তদন্তের দাবী রাখে। পুলিশ যদি ৫/১০ জন কে গুলি করতো তা হলে কারো কিছু বলার ছিল না। কিন্তু এখন প্রশ্ন করার দাবী রাখে প্রধান বিচার পতির ঘাড়ে বন্দুক রাখে আঃলিগ রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়।
এই জন্যই কি পুলিশ গুলি করে নাই তদের পরিচয় প্রকাশ হলে ,থলের বিড়াল বাহির হয়ে যাবে।
৩। বাস ড্রাইভার এর ব্যক্তব্য ডিবি পুলিশ বাসে আগুন দিয়েছে, ড্রাইভার সে মরট সাইকেল চালকে ধরতে গিয়েছিল যে দুই জন আগুন দিয়েছিল, কে পিছন থেকে ড্রাইভারকে টেনে ধরেছিল ?? যেন তাদের কে না ধরতে পারে।
এই আগুন দেওয়া বাস প্রথমে আঃলীগের মিটিং থেকে পুলিশ নিয়ে বিএনপির মিটিংএ আসে তার মানে কি বাসে আগুন দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিল চক্রান্তকারীরা।
৪। আঃলিগ সব প্লান সফল হয়েছে একটি ছাড়া, তারা চেয়েছিল ভারতের বিজেপির মত হিন্দু -মুসলিম- ক্ষৃষ্টান দাংগা করে, নির্বাচনে ফায়াদা নিতে, যা ব্যর্থ্য হয়েছে।
৫। আঃলিগ আগামী নির্বাচন করতে চায় বিএনপি কে বাদ দিয়ে, এই চক্রান্তের মধ্য দিয়ে বিএনপির মহাসচিব সহ সকল বিএনপির নেতাদের জেলে রাখে অন্যন্য দল দিয়ে নির্বাচন করতে।
বিএনপি ১৫ বছরে এতোই সংগঠিত হয়েছে যে বিএনপি এখন দেশবাসীর একমাত্র আলোর বাতি ঘর।
এই বিশাল জনসভায় যারা এক সাথে থাকে তখম মনে হয় তারা সবাই একপক্ষের এবং একান্ত আপন, এই সুযোগ নেয় আর আর একটি চক্র,কেউ কেউ যায় আবার পকেট মারতে, কে কোন পক্ষ চেনা যায় না। এই দূর্বল দিকটি বেছে নিয়ে প্লান করেছে আঃলিগ।
বিএনপি যে ১৫ বছরে অহিংস আন্দোলনের প্র্যক্টিস করে এসেছে তাতে মনে হয় না এটি বিএনপির নেতা কর্মীর দারা হয়েছে। ডিবি হারুন, বিপ্লব এদের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় ঘটেছে । প্রধান বিচারপতির বাসভবেনের কাছেই ছিল তারা। পুলিশের ওয়ারল্যেস এর কথায় তাই বুজা যায়।
আঃলিগ বা হাসিনা নিজের স্বার্থের জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে তা মতিউর রহমান রিন্টুর বই আমার ফাসি চাই পড়লেই বুঝা যায়।
মোশাররফ হোসেন
আয়ারল্যান্ড থেকে
২৯-১০-২৩