ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির চেয়ার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন দেয়া হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে৷ ১০ ধরনের অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ প্রথমে এই তালিকা থেকে কারা কতজন পাবেন তাও নির্ধারণ প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে৷ আমরা অচিরেই এই অগ্রাধিকার তালিকা প্রকাশ করব৷”
যে ১০ ধরনের জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে তমদ্ধে আছেন: মুক্তিযোদ্ধা, করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা কর্মী,গণপরিবহন কর্মী৷ বয়োজ্যেষ্ঠ বলতে ষাটোর্ধ বয়সের ব্যক্তিদের বোঝানো হচ্ছে৷
জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার, সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন তিন লাখ, বেসরকারি কর্মী রয়েছেন সাত লাখ, স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন এনজিও কর্মী রয়েছেন দেড় লাখ৷ গণমাধ্যম কর্মী রয়েছেন ৫০ হাজার৷ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পাঁচ হাজার৷ পুলিশ বাহিনীর সদস্য দু’লাখের ওপরে৷ ক্যানসার, যক্ষ্মা আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী ধরা হয়েছে এক লাখ দুই হাজারের মতো৷ সেনাবাহিনী জন্য ধরা হয়েছে তিন লাখ৷ সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধি ধরা হয়েছে ৭০ হাজার৷
জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য বিএসএমএমইউ-এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা ১০ ধরনের জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছি৷ তবে তার মধ্যে জনপ্রতিনিধি ছিলো বলে আমার মনে হয় না৷ আর আমরা ওই ১০ ধরনের জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা করেনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে তাদের জন্য বলেছি৷ যেমন চিকিৎসক অগ্রাধিকার পাবেন৷ কিন্তু যে চিকিৎসক সরাসরি চিকিৎসা কাজে যুক্ত নন তিনি পাবেন না৷ পুলিশের কথা বলেছি৷ কিন্তু যে পুলিশ সদস্য সরাসরি ফিল্ডে কাজ করেন না তিনি পাবেন না৷”
বাংলাদেশের বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে যে চুক্তি করেছে তাতে পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনপাওয়া যাবে৷ আর এরজন্য ভ্যাকসিন কেনা ও বিতরণ খরচ মিলে খরচ হবে এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা৷ প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজের হিসেবে প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ দেয়া যাবে ২৫ লাখ মানুষকে৷