বাংলাদেশে আগামীকাল থেকে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

0
665

মহামারির কারণে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল থেকে।করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থদের এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের গড় করে মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়৷ তার ভিত্তিতেই তাদের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হচ্ছে৷ স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও আগের রোলে পরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হয়৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পালন করতে হবে বিশেষ কিছু শর্ত। আবার খোলার পর এসব শর্ত ঠিক মতো পালিত হচ্ছে কিনা বা স্কুল খোলার পর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কেমন হয় তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে কর্তৃপক্ষ।

সরকারিভাবে স্কুলগুলোতে ইউনিসেফের সহায়তায় তৈরি করা একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে সবসময় মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের তিন ফুট শারীরিক দূরত্বে রাখা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণি কক্ষে ৫ ফুটের চেয়ে ছোট আকারের বেঞ্চিতে একজন ও এর চেয়ে বড় আকারের বেঞ্চিতে দুজন শিক্ষার্থী বসানো যাবে।

কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম দিকে পাবলিক পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরাই বেশি আসবে। বাকিদের স্কুলে আসার জন্য রোটেশন সিস্টেম অর্থাৎ আজ যারা আসবে তারা কাল আসবে না-এই নীতি অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ১২ সেপ্টেম্বরের আগেই স্কুলগুলোকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত করা ছাড়াও স্কুলে কোভিড সংক্রান্ত ব্যবস্থা অর্থাৎ হাত ধোয়া, তাপমাত্রা পরীক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এইদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর স্কুলের পোশাক ছোট হয়ে গেছে বা না পরতে পরতে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের জুতাও কেনা লাগছে। এসব কিনতে তারা ভিড় জমিয়েছেন বিপণিবিতানে। কেউ কেউ ব্যাগও কিনছেন। হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।

দীর্ঘদিনের পাঠবিরতির পর কিভাবে কিভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে ফিরিয়ে আনা যায় তাই দেখার বিষয়।

 

 

বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দর্জির দোকানের চেয়ে রেডিমেড পোশাকের দোকানে ভিড় বেশি। দর্জিরা বলছেন, এক সেট স্কুল ড্রেস বানাতে ক্ষেত্রবিশেষে চার থেকে সাতদিন সময় লাগে। কিন্তু এবার অভিভাবকরা চাইছেন চটজলদি ডেলিভারি। তাই গত কয়েকদিনে বিপুলসংখ্যক ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।

 

Facebook Comments Box