জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এখন থেকে ইহুদিরাও ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ প্রার্থনা করার অনুমতি পাবে বলে চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের একজন বিচারক রায় দিয়েছেন। এ রায়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে মুসলিম বিশ্বেও।
গত মঙ্গলবার জেরুজালেমের ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের বিচারক বিলহা ইয়াহালোম এক আদেশে ওই মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা করার অনুমতি দেন। এ আদেশকে অবৈধ উসকানি বলে আখ্যায়িত করেছে মসজিদটির তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত ওয়াকফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল। আর ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতেয়াহ এই মসজিদে জোর করে প্রবেশের যেকোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
ইসরায়েলি আদালতের রায়কে সর্বসম্মতভাবে নিন্দা জানিয়েছেন মুসলিম নেতারা। আল-আকসার পরিচালক শেখ ওমর আল-কিসওয়ানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি একধরনের উসকানি ও এতে আল-আকসার পবিত্রতা বিনষ্ট হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের কোনো বৈধতা নেই। কেননা, আমরা আল-আকসা নিয়ে ইসরায়েলি আইনকে স্বীকৃতি দিই না।’
১৯৯৪ সালে আম্মান ও তেল আবিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে জর্ডান। ইসরায়েলি আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আম্মান বলেছে, এটি ‘আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক এবং আইনি মর্যাদার মারাত্মক লঙ্ঘন।’