

করোনা সংকটের কারণে সরকার সারা দেশের অসহায় দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। এ কারণে মানিকগঞ্জের পৌর এলাকার বান্দুটিয়া ঘন্টিপাড়া মহল্লার শাকিল হোসেন খাদ্য সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের মোবাইলে কল করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে তার বাড়িতে যান উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে বাড়িতে গিয়ে দেখেন উল্টো চিত্র। তার বাড়িতে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। পরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সহায়তা চাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত শাকিল হোসেনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের মুঠোফোনে খাদ্য সহায়তা চেয়ে কল করেন শাকিল। এরপর জেলা প্রশাসক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল মাহমুদকে খাদ্য সহায়তা দিতে নির্দেশ দেন।
রাত ১০টার দিকে ইউএনওসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন খাদ্য সহায়তা নিয়ে ওই বাড়িতে যান। তবে বাড়িতে গিয়ে তারা দেখেন, ওই ব্যক্তির ঘরে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী রাজিব মাহমুদ ওই ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে খাদ্য সহায়তা দাবি করার অপরাধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২-এর ৩৮ ধারায় ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মহীন অসহায় ও দুস্থ মানুষের খাদ্য সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।