

এমপি ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি মৃত্যু বরন করেন ২রা জানুয়ারী, ২০২০ ( সম্ভবত করোনায় আক্রান্ত হয়ে )
আওয়ামী লীগের পরোলোকগত তরুণ এমপি ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি অসুস্থ হবার আগে চিনে গিয়েছিলেন। তার ফেবু টাইমলাইনে দেখা যাচ্ছে তিনি ২৫ নভেম্বর ২০১৯ এ চিনের ছবি শেয়ার দিয়েছেন। এ সময়ে তিনি চীন ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তিনি অসুস্থ হন। হিসাব অনুসারে ফিরে আসার দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি অসুস্থ হন বলে অনুমান করা যায়।
অসুস্থ শরীরেই তিনি সিআর আই ওর অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, মন্ত্রীদের সাথে বসেছেন পাশাপাশি, টক শো করেছেন। এই অসুস্থতা নিয়েই তিনি ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন গণভবনে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সন্মেলনে গিয়েছেন, হাজারো কর্মীদের সাথে কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন। সাংবাদিক প্রভাস আমিন বলেছেন, আপা আপনি তো এই শরীরে একটা মাস্ক পরতে পারতেন। তিনি উত্তর দিয়েছেন, কর্মীরা দুরের মানুষ মনে করে।
মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিনি ২৮ ডিসেম্বর বিএস এম এম ইউ য়ে লাইফ সাপোর্টে যান। কয়েকদিন পরেই তিনি ২রা জানুয়ারী মারা যান। মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিলো ইনফ্লুয়েঞ্জা জনিত এটিপিক্যাল নিউমোনিয়া।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে ৯ই মার্চ। যদি ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করে তার মানে নভেম্বর বা ডিসেম্বর থেকে অনেক লোক কমিউনিটি সংক্রমিত হয়েছে।
আমরা ধারণা করে কিছু বলতে চাইনা, শুধু সম্ভাবনার কথা বলছি। সরকারের বিভিন্ন লেভেল থেকে যেভাবে প্রমান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে তা দেখে মনে হয় কিছু আড়াল করার চেষ্টা চলছে। আর যদি আসলেই বাপ্পির মৃত্যুর কারণ এটা হয় তাহলে আপনার আমার সকলের দায়িত্ব এর একটা তদন্ত হওয়া এবং সঠিক তথ্য উদঘাটন করা। কাউকে হেও করা উদ্দেশ্য নয়, দেশে করোনা ভাইরাস কন্ট্রোলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যথা সময়ে নেওয়া যাবে। যা আমরা সবাই কামনা করি।
এতদিনে ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির কবরে নিশ্চয়ই দেহাবশেষ গলে গিয়েছে যদি সম্ভব হয় সমাধি স্থল থেকে সোয়াব টেস্ট করা যেতে পারে তা নাহলে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করে দেখা যেতে পারে, তার সংস্পর্শে থাকা কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়েছেন কিনা?
যদি আমরা করোনা ভাইরাস কে সিরিয়াসলি মরণঘাতী শত্রু হিসেবে দেখি তাহলে এই শত্রুকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদেরকে সঠিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ময়দানে আসতে হবে, তানাহলে আমরা ভুল স্ট্র্যাটেজিতে থাকলে এর ক্ষতি ভীষণ ভাবে বহন করতে হবে সমগ্র জাতিকে।