আজ বুধবার, ৩রা জুন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এর সাথে আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়মন কভেনির সাথে ফোনে আলাপ হয়। দৈনিক ইত্তিফাক ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসী রুবায়েত দ্বীপের ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মারফত এই তথ্য পাওয়া যায়। আজকের এই ফোনালাপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনসুলার সেবার ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশের আইটি বিষয়ে দক্ষ প্রায় ৬ লক্ষ নাগরিকে। তাদের জন্য আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। ড. মোমেন আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়মন কভেনির সাথে ফোনে আলাপকালে এ অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইটি খাতে দক্ষ প্রায় ৬ লক্ষ জনগোষ্ঠীকে আয়ারল্যান্ড সে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবে। এসময় তিনি তৈরি পোশাকখাতে বাংলাদেশের ক্রয়াদেশ বাতিল না করার জন্য আয়ারল্যান্ডের কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে বিদেশী ক্রেতাদের দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া এ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আয়ারল্যান্ডের জনগোষ্ঠীর প্রায় এক চতুর্থাংশ। এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতার জন্য আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ড. মোমেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ করেন। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়া। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সায়মন কভেনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক