বহু প্রতীক্ষিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

0
952
Oxford/AstraZeneca Vaccine

চারদিকে যখন করোনার আতঙ্ক বিরাজমান, তখন একমাত্র আশার বানী শুনিয়েছিলেন অক্সফোর্ডের প্রফেসর ডঃ সারাহ গিলবার্ট। এপ্রিলেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি ৮০% আত্মবিশ্বাসী যে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন এর একটা সুখবর পাওয়া যেতে পারে। সে আশায় সবাই বুক বেঁধে ছিলাম। 

অবশেষে ইউকে ড্রাগ ওয়াচডগ বহু প্রতীক্ষিত অক্সফোর্ড এবং আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন প্রদান করে। যা জানুয়ারি থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবে। যা অন্যান্য ভ্যাকসিন এর সাথে যুগপৎভাবে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সম্ভাবনাকে আরো সহজলভ্য ও দ্রুততর করতে সহায়তা করবে। 

এই ভ্যাকসিনের সবচেয়ে সুবিধা জনক দিক হল, তা সাধারণ ফ্রিজ তাপমাত্রায় রাখা যাবে। যা হবে সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনও হবে সহজসাধ্য। 

অক্সফোর্ড এবং আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি অক্ষতিকর চিম্প কোল্ড ভাইরাস দিয়ে গঠিত যা মানবকোষের অভ্যন্তরে বাড়তে পারেনা। এটি করোনাভাইরাসের প্রোটিনের নির্দেশনাবলীযুক্ত জিনগত উপাদান বহন করে। সুতরাং ভ্যাকসিনটি প্রদান করা হলে মনুষ্যদেহ করোনাভাইরাস প্রোটিন তৈরি করে। সুতরাং করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার সাথে সাথে মনুষ্যদেহ করোনাভাইরাস প্রোটিন তৈরি করে ইমিউন সিস্টেমকে প্রতিক্রিয়া করতে সচল করে দেয়। 

ইউকে ১০০ মিলিয়ন ডোজ এর অর্ডার করে, যা ৫০ মিলিয়ন মানুষের জন্য। প্রত্যেকে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন নিতে হবে। প্রথম ডোজ গ্রহণের ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। ইউকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে প্রথম ডোজ দিতে চেষ্টা করবে। ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ সর্বপ্রথম হাই-রিস্ক সম্পন্ন গ্রুপের মধ্যে প্রদান করা হবে। 

অক্সফোর্ড এবং আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে গেম চেঞ্জার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। 

Facebook Comments Box