বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের মাঝে অনেকগুলি সংগঠন বিদ্বমান আছে। কোনো কোনোটি সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিক এবং ক্রিড়া সংক্রান্ত ইত্যাদি। প্রতিটি সংগঠনের দায়িত্বশীল এবং সদস্যবৃন্দের ৯৫% এর বেশি মুসলিম। মুসলিম সংস্কৃতি বা অনুশাসন কেউ কম বা বেশি মেনে চলি। কিন্তু সুস্পষ্ট ভাবেই বলা যায় দুনিয়ায় বেচে থাকতে এবং চির বিদায় নেওয়ার সময় মুসলমান পরিচয় নিয়েই বিদায় হতে চাই। এব্যপারে কেউই দিমত পোষণ করবেননা বলে আমার বিশ্বাষ।
বিগত দিনে দুইজন ভাইকে শেষ বিদায় দিতে গিয়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়েগেল।
একজন মুসলমান হিসেবে শেষ বিদায় দেওয়ার কিছু ঋতি নিতী আছে যা বিশ্ব নবী স: শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। যেসব ভাইয়েরা আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন তাদের শেষ গোছল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের ভাইদের মধ্য থেকেই হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে তাদেরকে কবরে রাখা নিয়ে।
একজন মৃত মুসলমানকে কবরে রাখতে হবে কফিন ছাড়া কিবলামুখি করে এবং তার মাহাররাম আত্মীয়-স্বজনদের দারা। প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য আছে বিশ্ব নবী স: এর শিখানো দোয়া এবং নিয়ম কানন। কিছু কিছু ভাইদের ক্ষেত্রে তা পালন করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
আমরা বরাত দিয়ে থাকি কাউন্টি কাউন্সিল অনুমতি দেয়নি। আয়ারল্যান্ডে যার যার ধর্ম পালন, জাতীয় রসম রেওয়াজ বা সাংস্কৃতি পালনে সরকার কতৃক কোনো বাধা নেই। যে বা যারা তার অধিকার আদায়ের জন্য আবেদন করেছেন সে বা তারা তা আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন ইতপূর্বে এর একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। নিজস্ব ধর্ম পালনের জন্য যারা স্থানীয় কাউন্টি কাউন্সিলে আবেদন করেছেন তারা সবাই সেসংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতিও পেয়েছেন।
যার যার সংগঠনের আকৃতি বৃদ্ধি করন নিজস্ব ব্যক্তি ইমেইজকে উপরে রাখা নিয়ে যতটা মেহনত করছি তার চেয়েও বহুগুনে বেশি মেহেনত করা দরকার হচ্ছে আমাদের চিরবিদায়ের রসম রেওয়াজগুলি মেনে চলা নিয়ে। কথায় আছে শেষ ভাল যার সব ভাল তার।
এজন্য সকল কাউন্টি বা শহরগুলিতে বাংলাদেশীদের যত সংগঠন বা কতৃত্বশীল ব্যক্তিবর্গ আছেন সকলে চেষ্টা করুন যাতে আমাদের ভাই/বোনদের চিরবিদায় আল্লাহ্তায়ালা ও বিশ্ব নবী স: শিখানো পদ্ধতির মাধ্যমে ও সর্বাধিক সম্মানজন ভাবে দেওয়া যায়।
যারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন এ দায়িত্বতো আর তাদের নয়। এখনও যারা বেচে আছি এ দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।
কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য লিখিনি, ভাইয়ের অধিকারবলেই লিখেছি। তাই ত্রুটি বিচ্চুতির জন্য এভাইটিকে মাফ করে দিবেন।
খন্দকার মুঈনউদ্দিন অপু
তালা, ডাবলিন।
আমাদের চিরবিদায় নিয়ে দুটি কথা – খন্দকার মুইনুদ্দিন অপু
Facebook Comments Box