অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন বাংলাদেশে বেশি উপযোগী
ফাইজার ও মডার্নার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যে পদ্ধতিতে উৎপাদিত, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সে পদ্ধতিতে উৎপাদিত নয়। জিকা, মার্স, ফ্লু প্রভৃতি রোগের ভ্যাকসিন যে পদ্ধতিতে তৈরি হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরিতে সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন হয় অত্যন্ত নিু তাপমাত্রা। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে সে সমস্যা নেই। এটি অন্য দুটি ভ্যাকসিনের চেয়ে দামেও তুলনামূলক অনেক কম।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের আরেকটি সুবিধা হলো এটি মৃত্যু ও অনেক গুরুতর জটিলতা থেকে মানুষকে রক্ষা করবে। ফাইজার ও মর্ডানার উদ্ভাবকরা বলছেন, এ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও মানুষকে মাস্ক পরে থাকতে হবে, যাতে একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত হতে না পারে। অন্যদিকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের উদ্ভাবকরা দাবি করছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৫৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমিত হবে না।
যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। শিগগির ভারত ও আর্জেন্টিনায় শুরু হতে যাচ্ছে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখছে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায় কি না। কারণ, এর ফলে অনেক বেশি মানুষকে এ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এতে ইমিউনিটি বাড়বে।
ডাঃ মুসাব্বির হোসাইন : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র রেজিস্ট্রার, পোর্টিউনকুলা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল, আয়ারল্যান্ড