৩০০ মিলিয়ন ইউরোরও অধিক ফান্ড ঘোষণা করা হয়েছে লিমেরিকের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য। এর মধ্যে ‘’অপেরা সাইট’’ প্রকল্প, বিশ্বমানের ওয়াটারফ্রন্ট প্রজেক্ট, ও’কনেল স্ট্রীট এর ডেভেলপমেন্ট ও সিটি সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প অন্যতম।
১০০ মিলিয়ন ইউরোর ওয়াটারফ্রন্ট ও বিউটিফিকেশন প্রকপ্ল
শ্যানন নদী ঘেঁষে লিমেরিক সিটির ওয়াটারফ্রন্ট প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ৭৩.৪ মিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ক্লিভেজ রিভার সাইড কোয়ার্টার এর উন্নয়ন এবং এবং পথচারী চলাচলের জন্য নতুন সেতু। এছাড়া আর্থুরস কি এবং হোনান’স কি এর মধ্যে সংযোগ রাস্তাও তৈরি হবে, যেটা আর্থুরস কি রিটেইল এরিয়াতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।
অন্যদিকে আলাদাভাবে ৪২.৬ মিলিয়ন ইউরো ব্যায় হবে লিমিরিক সিটি সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্পে।
এই প্রজেক্টের ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে, এই প্রজেক্ট সিটি সেন্টারে একটা পজিটিভ, উদ্ভাবনী ও রুপান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
ও’কনেল স্ট্রীট এর রিভাইটালিজেশন প্রজেক্ট
লিমেরিকের ব্যস্ততম সড়ক ও অন্যতম প্রধান সড়ক ও’কনেল স্ট্রীট এর সৌন্দর্য বর্ধন ও আধুনিকায়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯.১ মিলিয়ন ইউরো। এতে থাকবে পথচারীর চলাচলের সুবিধার্থে প্রশস্থ ফুটপাত, সাইকেল লেন, থাকবেনা যত্রতত্র পারকিং ও রাস্তার দুধার জুড়ে থাকবে সবুজ বৃক্ষ। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সাথেই করোনার কারণে আবার স্থগিত হয়ে পড়ে।
২০০ মিলিয়ন ইউরোর অপেরা প্রজেক্ট
লিমেরিক সিটির প্রাণকেন্দ্রে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রজেক্ট ‘’অপেরা সাইট’’ এর কাজও শুরু হতে যাচ্ছে। লিমেরিক ২০৩০ ভিশন এর লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু। ৩.৭ একরের উপর গড়ে উঠা এই প্রকল্পে থাকবে আবাস্থান, শপিং কমপ্লেক্স, অফিস, লাইব্রেরিসহ অন্যান্য ব্যবস্থা, যেখানে প্রায় ৩০০০ এর মত চাকুরী তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে লিমেরিক সিটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।
লিমেরিকের ডেপুটি মেয়র জনাব আজাদ তালুকদার বলেছেন, ‘’সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে লিমেরিকের চেহারাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। লিমেরিক হয়ে উঠবে আরও আধুনিক, পরিবেশ বান্ধব ও উন্নত বসবাস উপযোগী।।’’
জনাব আজাদ তালুকদার লিমেরিকের আশু উন্নয়ন প্রকল্পের স্বাগত জানান। ধন্যবাদ জানান সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্টকে।
লিমেরিকবাসীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ নতুন লিমেরিককে স্বাগত জানাতে।