আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত হওয়ায় ধর্ষণ প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অধ্যাদেশের একটি ধারা সংশোধন করে সশ্রম যাবজ্জীবন ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
আইনমন্ত্রী জানান, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া এ শাস্তির বিধানে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করলেই অধ্যাদেশ জারি করে আইনটি কার্যকর করা হবে।
মৃতুদণ্ডের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু যেহেতু এখন সংসদ অধিবেশন নেই, সেহেতু রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে মঙ্গলবারই অধ্যাদেশ আকারে সংশোধিত আইনটি জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আইনের ধারা ৯(১)-এ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রতিস্থাপিত হবে। মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত হওয়ায় ধর্ষণের প্রবণতা কমবে বলে আমরা মনে করছি।
চলমান পুরনো ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এর জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পুরনো মামলার পাশাপাশি ধর্ষণের অন্যান্য মামলাও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে।