মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী।
সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাং-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের পক্ষ থেকে সোমবার সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নেতা অং সান সু চি জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে জনগণকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের জন্য খারাপ সংবাদ
বিশ্ববাসীর মতোই বাংলাদেশের জন্য মিয়ানমারের সর্বশেষ ঘটনাবলি অত্যন্ত খারাপ এক বার্তা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনা এই ঘটনায় বিলম্বিত হবে। আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতিরও অবনতি হতে পারে একই কারণে। এমনকি আরাকান আর্মির সঙ্গে টাটমা-ডর সংঘাত বাড়তে থাকলে আরাকান থেকে আরও শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে চাইবে আসন্ন দিনগুলোতে।