ব্রাজিলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। দেশটির প্রসিদ্ধ দৈনিক ফলহা ডিএস পাওলোর প্রথম পাতাজুড়ে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এই দাবি করা হয়। পত্রিকাটি লিখেছে, আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন, তখন আরেকজন ব্রাজিলিয়ানের মৃত্যু হয়েছে করোনায় । এদিকে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনার ভয়াবহতা কমে এসেছে। ৮৬ দিন পর প্রথম মৃত্যুশূন্য দিন দেখল শহরটি। ভারত ও পাকিস্তানে প্রায় প্রতিদিনই করোনা-আক্রান্তের নতুন রেকর্ড হচ্ছে। আক্রান্তের তালিকায় ইতালিকেও ছাড়িয়ে গেছে ভারত।
ফলহা ডিএস পাওলোর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মাত্র ১০০ দিন আগে ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো যেটিকে ‘লিটল ফ্লু’ বলে আখ্যায়ন করেছিলেন, সেটিই এখন প্রতি মিনিটে একজন ব্রাজিলিয়ানের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। টানা তৃতীয় দিন ধরে মৃত্যুর রেকর্ড গড়ে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার মারা যান ১ হাজার ৪৩৭ জন , আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। শুক্রবার রাতে আরও ১ হাজার ৫ জনের মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুসংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৭ জন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও দ্রুত লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষেই সাফাই গাইছেন বোলসোনারো। এটা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছিল ব্রাজিলিয়ান সরকারকে। যার জেরে শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে ব্রাজিলের বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডব্লিউএইচও ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অনুগত’ ও ‘রাজনৈতিক’ প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থা ‘আদর্শগত পক্ষপাতিত্ব ছাড়া’ কাজ বন্ধ না করলে ব্রাজিল তার সদস্যপদ বাতিলের কথা ভাববে।