নির্বাচনী ফলাফলের হিসাব নিকাশ

0
845

এবারের নির্বাচনে ১৬০ টি আসনের ১৫৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রার্থীগণ। Ceann Comhairle তার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃ নির্বাচিত হন।

এই ১৬০ জন সদস্য নির্বাচিত হবে মোট ৩৯ টি নির্বাচনি এলাকা থেকে যার ৯টি নির্বাচনী এলাকায় ৩ টি করে আসন , ১৭ টি নির্বাচনী এলাকায় ৪ টি করে আসন, এবং ১৩ টি নির্বাচনী এলাকায় ৫ টি করে আসন, প্রতি জেলার গড় আসন ৪.১০ টি রয়েছে। ৩রা ফেব্রুয়ারি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেরেস স্কেহানের আকস্মিক মৃত্যুর পরে, টিপ্পেরির নির্বাচনটি রিটার্নিং অফিসার দ্বারা পুনরায় সংগঠনের জন্য মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তবে, ৫ ফেব্রুয়ারি আবাসন, পরিকল্পনা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী একটি বিশেষ অসুবিধা আদেশ জারি করেছিলেন যাতে অন্যান্য আসনের মতো একই তারিখেও নির্বাচন পরিচালনা করতে দেওয়া হয়। এটি সংসদ বিলোপের ৩০ দিনের মধ্যে সংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার বিবেচনায় ছিল। প্রতি ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার ভোটারের জন্য গড়ে একজন করে সংসদ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে।

গতকাল ভোটদান শেষ হহওয়ার পর, ব্যালট বাক্সগুলি সিল করে দিয়ে নির্বাচনি এলাকার একটি কেন্দ্রীয় গণনা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার ৯ ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা নাগাদ ভোটের চেকিং এবং গণনা শুরু হবে এবং প্রথম নির্বাচিত সদস্য দুপুর ২ টা থেকে ৩ টার মধ্যে ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

যেহেতু পিআর-এসটিভি অধীনে ভোট গণনা একটি বহু-পর্যায়ের প্রক্রিয়া, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আগামী সপ্তাহের প্রথম দিক ছাড়া হয়তো পুরাপুরি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। তবে কোন সমস্যা না হলে আজই ৯ ই ফেব্রুয়ারি ভোট গণনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো তাদের গণনা শেষ করবে।

এবার নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন শেষ হয় বুধবার, ২২শে জানুয়ারী। ২০২০ সালের নির্বাচনের ৫৩১ জন্য প্রার্থী নমিনেশন পান যার মধ্যে উল্ল্যেখ্যযোগ্য ১৬২ জনই নারী। এটিই প্রথম আইরিশ সাধারণ নির্বাচন যেখানে প্রতিটি আসনে একজন করে মহিলা প্রার্থী রয়েছেন। উল্ল্যেখযোগ্য যদি কোনও দলের ন্যূনতম ৩০% পুরুষ এবং ৩0% মহিলা প্রার্থী না থাকে তবে তারা তাদের রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে নির্বাচনও ব্যয়ের অর্ধেক হারায়।

প্রথমবারের মতো এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে অন্টি, আইরিশ ফ্রিডম পার্টি, ন্যাশনাল পার্টি এবং আরআইএসই (এস – পিবিপির অংশ হিসাবে) অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০১৬ সালের আইরিশ সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে ফিনে গেইল নির্বাচিত স্বতন্ত্র জোটসহ স্বতন্ত্র সদস্যদের নিয়ে সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফিয়ানা ফেইলের সাথে একটি আস্থা ও চুক্তির মাধ্যমে তখন সরকার গঠন করে। এবার নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে কোন একক দল সরকার গঠন করতে পারে কিনা। তবে জনমত জরিপ নিশ্চয়ই সেটা ইঙ্গিত করছেন।

২০১৬ সালের নির্বাচনে ফিনে গেইল ৫০টি আসন পেয়ে ৩১.৫%, ফিয়ানা ফেইল ৪৪টি আসন পেয়ে ২৮% ও শিন ফেইন ২৩টি আসন পেয়ে ১৪.৫% এর অধিকারী হয়।

এবার বিভিন্ন Opinion Poll এ শিন ফেইন অগ্রগামী থাকলেও সরকার গঠন করতে কোন একক দল এগিয়ে থাকবে নাকি আবারো কোয়ালিশন সরকারের পথেই হাটতে হবে সেটা দেখতে এখনো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। কোয়ালিশন সরকার গঠন করা সময় সাপেক্ষ এবং এই সময় অগ্রগামী দল অন্যান্য দলগুলোর সাথে অথবা অন্য কোন নিকটবর্তী দল বাকী ছোটছোট দলগুলোর সাথে আলোচনা ও পাওয়ার শেয়ারিং এর বিষয়গুলো সামনে চলে আসবে।

Facebook Comments Box

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here