সৈয়দ আতিকুর রব : গ্রীষ্ম কাছাকাছি আসার সাথে সাথে ইউরোপে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে । আর এ দিকে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা বিধির আওতায় কয়েক মাস ধরে ঘরে বসে থাকা নাগরিকরা বন্দীশালা থেকে পরিত্রানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ।
ইউরোপিয় দেশ গুলোর সমুদ্র সৈকতগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লকডাউনের শিথিলকরণের মাধ্যমে “জনগণকে কিছুটা প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং সতেজ বায়ু পাওয়ার সুযোগ দেওয়ার” জন্য একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল। পরিকল্পনার মধ্যে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ সীমানা খোলা, রেল, সড়ক, বিমান এবং সাগর মোহনা পুনরুদ্ধারের মত বিষয়গুলো সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত ছিল যাতে ধসে পড়া ইউরোপিয় পর্যটন শিল্পকে পুনরায় ঢেলে সাজানো যায়।
আর লকডাউন শিথিলের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তীব্র গরমে হাপিয়ে উঠা মানুষদের সমুদ্র স্নানের জন্য ঢল নেমেছে স্পেন ,ফ্রান্স সহ নেদারল্যান্ডের সৈকতগুলোতে।
তবে ইতমধ্যে গ্রীষ্মের মনোরম আনন্দে মেতে উঠা অন্যতম আকর্ষণীয় সৈকতগুলিতে পর্যটক এবং স্থানীয়দের উপচে পড়া ভীড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কিছু কিছু দেশকে হিমশীম খেতে হচ্ছে বলে সিএনএন ট্রাভেলের এক সূত্র থেকে জানা গেছে ।
উক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায় গত ২০ শে মে বুধবার ফ্রান্সের লকডাউন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে শতাধিক সমুদ্র সৈকত খোলার কিছু দিন পর ব্রিটানির উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ মরবিহান সৈকতে সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলার কারণে পাঁচটি সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । সমুদ্র সৈকতে মানুষের ঢল সহ লকডাউন বিধি লঙ্ঘনকে ইউরোপের জন্য নতুন হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে ।
এদিকে, বুধবার ডাচ উপকূলীয় প্রদেশ জিল্যান্ডে সুন্দর আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কারণে সেখানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়ে জরুরী ব্যাবস্থা লঙ্ঘন হওয়ার আশংকায় সৈকত কর্তৃপক্ষ জুনের ১ তারিখ পর্যন্ত সেখানকার শহরের রাস্তাগুলি প্রতি সপ্তাহন্তে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সিএনএন ট্র্যাভেল সূত্র থেকে জানা গেছে ।
সূত্র : সিএনএন