বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু সত্ত্বেও চলতি বছর ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জিত হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গতকাল সোমবার এই সতর্কতার কথা বলেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কোনো অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী যখন একটি সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়, তখনকার পরিস্থিতি বোঝাতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ পরিভাষা ব্যবহার হয়। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ও টিকাদানের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছানো যায়।
জেনেভায় ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, করোনার বিস্তার থামাতে যথেষ্টসংখ্যক টিকা উৎপাদন ও প্রদান করতে সময় লাগবে।
সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালে কোনো পর্যায়ের জনসংখ্যা ইমিউনিটি বা হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে যাচ্ছি না।’
করোনার লাগাম টানতে সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, মাস্ক পরার মতো ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী।
এক বছরের মধ্যে করোনার একাধিক নিরাপদ ও কার্যকর টিকা আবিষ্কারের বিষয়টিকে ‘অচিন্তনীয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন সৌম্য স্বামীনাথন। এই সাফল্যের জন্য তিনি বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এই আবিষ্কারকে ‘অবিশ্বাস্য অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেন।
তবে ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী উল্লেখ করেন, প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা উৎপাদন ও তা প্রদানে সময় লাগবে। এ জন্য তিনি মানুষকে একটু ধৈর্য ধরা আহ্বান জানান।
সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে করোনার বিরুদ্ধে কাজ দেয়, তেমন ব্যবস্থা আছে।’
এ প্রসঙ্গে করোনার বিস্তার ঠেকাতে যেসব জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক বিধি বর্তমানে অনুসরণ করা হচ্ছে, তা অন্তত চলতি বছরের বাকি সময় পর্যন্ত মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী।
তথ্যসুত্র: https://www.prothomalo.com/world/europe/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%8F-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A1%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%93