কুমিল্লায় সিটি নির্বাচন আজ : নতুন ইসির প্রথম পরীক্ষা

0
342

ইসিবাহারবিতর্কের মধ্যেই আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচন নতুনকমিশনের (ইসি) জন্য অনেকটা প্রথম পরীক্ষার মতো। সরকারদলীয় সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাতে ব্যর্থ ইসিভোটের দিন কী করে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছেন পর্যবেক্ষকেরা।

স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এই ভোট সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিনের (বাহার) জন্যও চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) বাহাউদ্দিনের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। আরফানুলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বীস্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (সাক্কু), যিনি এই ভোটের আগপর্যন্ত বাহাউদ্দিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে আসছিলেন বলে এলাকায়প্রচার আছে। তাই মনিরুলের এবারের প্রার্থী হওয়াকে বাহাউদ্দিনের একচ্ছত্র প্রভাবপ্রতিপত্তিকে চ্যালেঞ্জ করা হিসেবে দেখাহচ্ছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এটি তৃতীয় নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী পাঁচজন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন গতদুবারের মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (টেবিল ঘড়ি) আওয়ামী লীগের আরফানুল হক (নৌকা) অন্য তিনজন হলেনইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন (ঘোড়া) কামরুলআহসান (হরিণ) এর মধ্যে মনিরুল হক বিএনপির নিজামউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন। সিদ্ধান্ত অমান্য করেপ্রার্থী হওয়ায় দুজনকেই বহিষ্কার করে বিএনপি।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহল বলছে, নৌকার বিপরীতে ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় মাঠে নির্বাচনী উত্তাপ ছিল কম। কিন্তু শেষ দিকেএসে সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বিতর্কে উত্তাপ ছড়ান। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সভাবৈঠক করার অভিযোগে বাহাউদ্দিনকে একবার সতর্ক করে ইসি। পরে এলাকা ছেড়ে যেতে চিঠি দেয়। কিন্তু তিনি এলাকাছাড়েননি। বাহাউদ্দিন শহরেই রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়, নিজের প্রার্থী আরফানুল হকের জন্য কতটা শক্ত অবস্থান নিয়ে এলাকায়থাকছেন সংসদ সদস্য। আর সংসদ সদস্যের অবস্থানের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ইসি তার সামর্থ্যের বিষয়ে প্রশ্নের মুখেপড়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক গতকালও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁর কর্মীসমর্থকদের হুমকি দেওয়াহচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল সন্ধ্যার পর গুঞ্জন ছড়ানো হয় যে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রের অদূরে একযোগে বাঁশি বাজানো এবংবিএনপি সমর্থকদের বাড়ির সামনে পাহারা দেওয়া হতে পারে।

অবশ্য সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাজার ৬০৮জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ছাড়া ৭৫টি তল্লাশিচৌকি, ১০৫টি ভ্রাম্যমাণ দল, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের ৩০টি দল, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রথম আলো

Facebook Comments Box