
আজ শনিবার পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি ও জেএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়। করোনা মহামারির কারণে গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। পরে সিদ্ধান্ত হয় এসএসসি ও জেএসসির পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
২০২০ সালের এপ্রিলের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে রেজিস্ট্রেশন করা সবাই পাস করেছেন। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল এবং অনলাইন ক্লাসের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই ফল প্রকাশিত হলো।
এবার পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিও ৫ এর শতকরা হার ১১. ৮৩ শতাংশ । ৯ হাজার ৬৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। জিপিএ ৫ এর শতকরা হার ১৩.১৪ শতাংশ। ৪ হাজার ৫৩৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে তারা পরীক্ষায় অংশ নেন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ জন। জিপিএ ৫ পাওয়ার হার ৩.১০ শতাংশ। এক হাজার ৮৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তারা পরীক্ষায় অংশ নেন।
পরীক্ষায় পাশ করাই শেষ নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পাশের পর শুরু হয় ভর্তি যুদ্ধ। ভালো প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নিতে সে যুদ্ধ পরীক্ষা থেকেও অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিছুদিন পরেই সে যুদ্ধ শুরু হবে।
শুভ কামনা রইল সকল আগামীর সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদেরকে।