ইতিহাস থেকে জানা যায় জোহান কারুলাস নামের এক ভদ্রলোক ১৫৭৫ সালে জার্মান ভাষায় স্ট্রাসবুরগ শহর থেকে প্রথম একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। ওয়ারল্ড এসোসিয়েশন অব নিউজ পেপার এই পত্রিকাকেই প্রথম পত্রিকা হিসাবে দাবি করে। যার নাম ছিল ” রিলেশন ” রিলেশন পত্রিকার পথ অনুসরণ করে পৃথিবী আজ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশে দেশে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল মিডিয়া হাউজ। এই মিডিয়া হাউজগুলি আজ নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি, সমাজনীতি ও অর্থনীতি ।
আধুনিক এই যুগে মানুষের জীবন ব্যাবস্থায় যেমন পরিবর্তন এসেছে ঠিক সেই সংগে রুচিরও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এক সময় মানুষ অন্ধের মত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে বিশ্বাস করতো। মানুষ সংবাদ পত্রকে ও সাংবাদিককে জাতির বিবেক বলেই মানতো। কিছু লোভি সাংবাদিক ও সরকার নিজের অপকর্মকে ব্যাবহার করতে গিয়ে জাতির বিবেককে ধংস করে জাতির অভিশপ্ত হিসাবে রুপান্তর করেছে। এখনো যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক নেই তা নয় কিন্তু তারা আজ অসহায়। অথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বাংলা ভাষায় পারদর্শী কিছু ভুঁইফোড় সাংবাদিক সমাজের অভিশাপ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার এবং নিজের মহত্ত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে সমাজের বিবেক খ্যাত মাধ্যমটাকে অপমানিত অপদস্ত করছে।
আব্দুর রহিম ভুইয়ার সম্পাদনায় আইরিশ বাংলা টাইমস নামের একটি অন লাইন পত্রিকা প্রকাশিত হবে শুনে আইরিশ বাংলাদেশী হিসাবে আমি আনন্দিত। আমি আশাবাদী এই পত্রিকার মাধ্যমে দেশ বিদেশ এবং আমাদের আইরিশ বাংলাদেশীর সুখ দুঃখ ব্যথা বেদনা ও সমাজের অসংগতি তুলে ধরে সমাজ পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে। মনে রাখতে হবে সংবাদ মাধ্যম একটি সমাজ বা রাষ্ট্রের আমানত সংস্থার নাম। সকল দল মতের কাছে এই সংস্থা অন্ধ।
পক্ষপাতমুলক সংবাদ প্রচারে বিরত থেকে সকলের জন্য সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আইরিশ বাংলা টাইমস মানুষের অন্তরে ভালবাসার কুটুম হিসাবে স্থান করে নিবে। পৃথিবীর প্রথম পত্রিকা রিলেশন বা সম্পর্ক। আমি আশাকরি আইরিশ বাংলা টাইমস সমাজে সম্পর্ক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাবে এবং দোয়া করি আইরিশ বাংলা টাইমস হউক সত্যের বাহক।