
বিগত কয়েক বছর আয়ারল্যান্ডে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীর সংখ্যা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২৩ এপ্রিল থেকে ২০২৪ এর এপ্রিল পর্যন্ত সময়েই প্রায় ১৫০ হাজার অ্যাসাইলাম এর জন্য আবেদন করে। ক্রমবর্ধমান আবেদনের সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে এবং দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই মূলত মন্ত্রীসভা প্রস্তাবগুলো রাখেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার জাস্টিস মিনিস্টার জিম ও’ক্যালাহান নতুন নিয়মগুলো প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে, যা আবেদন প্রক্রিয়াকে আরো কঠিন করে তুলবে এবং থাকবে অনেক সীমাবদ্ধতাও যেগুলো পূর্বে ছিল না।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো হল:
- আয়ারল্যান্ডে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের জন্য একটি নতুন স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া চালু করা হবে। যাতে বোঝা যায় তারা জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি কিনা।
- বর্ডার প্রোসিডিউর চালু করা হবে, যারা মিথ্যা তথ্য দেন বা নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত হন তাদেরকে যেন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো যায়।
- আবেদন প্রক্রিয়া শুরু থেকে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হবে। তার মানে সব আবেদন তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে। এর মাঝে যারা আবেদনে সফল হবে তারা অ্যাসাইলাম পাবে, আর যাদের আবেদন সফল হবে না তারা অ্যাসাইলাম পাবে না।
- শুনানির ব্যবহার সীমিত করে হবে। যা বর্তমানে এক বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে এবং আইনি অনুবাদক প্রয়োজন হয়।
- আপিল পরিক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবে নতুন রাষ্ট্রীয় সংস্থা। যারা কেইসের উপর নির্ভর করে আপিলের অনুমতি প্রদান করবে।
- অ্যাসাইলাম অফিসারদেরকে আশ্রয়প্রার্থীদেরকে যে কোনো মুহূর্তে জাস্টিস মিনিস্টারের অনুমতি ছাড়াই দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা থাকবে।
এই প্রস্তাবিত নিয়মগুলো কার্যকর হলে, যেসব অ্যাসাইলাম আবেদনকারীর আবেদন প্রত্যাখ্যান হবে, তাদের পক্ষে সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।
আশ্রয় প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, নিয়ন্ত্রিত এবং কার্যকর করাই হচ্ছে নতুন এই আইনের লক্ষ্য।
মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর, এই প্রস্তাবগুলো সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে। সরকার চাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাইগ্রেশন চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগেই এই আইনটি পাস করাতে।
ওমর এফ নিউটন
বার্তা সম্পাদক
আইরিশ বাংলা টাইমস