ওমর এফ নিউটনঃ জনাব আজাদ তালুকদার যখন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন তখন আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না। প্রথম বাংলাদেশী কাউন্সিলর, গর্ব করার মতই বিষয়। এর পর বছর না গড়াতেই দল থেকে জনাব আজাদ তালুকদার ডেপুটি মেয়র বা সহকারী নগরপিতা হিসেবে মনোনয়ন পেলেন। প্রথম বার নির্বাচন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার মত করেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ডেপুটি মেয়রও নির্বাচিত হয়ে গেলেন। এখন আমরা বাংলাদেশীদের গর্ব বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল। এত স্বল্প সময়ে যে নগরপিতাও পেয়ে যাব তা ভাবতেই পারিনি। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
জনাব আজাদ তালুকদারের কাউন্সিলর হিসেবে অভিষেক এর এক বছরেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন দক্ষ, যোগ্য ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে। তাঁর কাজ ও কাউন্সিলর হিসেবে গুণাবলীতে মুগ্ধ হয়েই তাঁর দল তাঁকে ডেপুটি মেয়রের জন্য মনোনয়ন দেয়। তারপর সব দলের সব কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচন করা হয় ডেপুটি মেয়রকে। ভিন্ন জাতির, ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন বর্ণের কাউকে সহকারী নগরপিতা হিসেবে নির্বাচিত করার একটাই কারণ, তা হচ্ছে জনাব আজাদ তালুকদারের অসামান্য যোগ্যতা।
কাউন্সিলর হিসেবে জনাব আজাদ তালুকদার ইতিমধ্যে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন। সিটি কাউন্সিলের উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন কমিউনিটির উন্নয়নে। তার একটা উদাহরণ হল, সম্প্রতি মুসলমানদের জন্য আলাদা কবরস্থানের জন্য বরাদ্দ নিচ্ছিত করা। এছাড়াও কমিউনিটির বহু সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ডেপুটি মেয়র হিসেবে জনাব আজাদ তালুকদার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তন্মদ্ধে COVID-19 পরবর্তী সময়ে আভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম সম্প্রসারণে পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে কাজ, অভিবাসীদেরকে সাথে নিয়ে কমিউনিটির উন্নয়ন ও অভিবাসীদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কাজ করা অন্যতম। এছাড়াও বর্তমান বর্তমান মেয়রের সাহায্যে সর্বদা কাজ করে যাবেন।
ডেপুটি মেয়র হিসেবে জনাব আজাদ তালুকদারকে বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। সহকারী নগরপিতা হিসেবে বরাবরের মতই তাঁর সফলতা সর্বাগ্রে কাম্য।