![](https://irishbanglatimes.com/wp-content/uploads/2020/06/image-312872-1591384308-1-550x310.jpg)
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর আনুমানিক অর্ধেক সংখ্যক বাংলাদেশি উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এক জায়গায় গাদাগাদি করে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অপুষ্টি এর মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস মনে করছে অন্য দেশের অভিবাসীদের তুলনায় সেখানে বাংলাদেশিদের আক্রান্ত হওয়ার হার কিছুটা বেশি হলেও তা অস্বাভাবিক বা আশঙ্কাজনক নয়।
ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী আজ শুক্রবার পর্যন্ত সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ হাজার ১৫৭ জন। দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২৫ মে পর্যন্ত সেখানে করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ১০ হাজার ৯০৫ জন বলে জানান সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। তিনি জানান, ঐ সময় পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৮৭ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের হিসেবে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এই ৮৭ জনের পাশাপাশি গত তিন মাসে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে সৌদি আরবে মারা গেছে ২২৪ জন বাংলাদেশি। ওই কর্মকর্তা জানান, মারা যাওয়া ২২৪ জনের মধ্যে ৮৭ জন নিশ্চিতভাবে কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন , বাকিদের মৃত্যু সনদে কারণ হিসেবে ‘কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু উল্লেখ ছিল। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৭৯ জন। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ আরও বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতার বিষয়টি ই বেশি বলে মনে করেন সেখানে বসবাসরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও। তবে তাদের বক্তব্য, জীবন ও জীবিকার তাড়নায় তারা অসচেতন জীবনযাপন করতে প্রায় বাধ্য হন। বাংলাদেশিদের অধিকাংশই কম দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিক হিসেবে কাজ করে থাকেন । তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বদ্ধ জায়গায় একই সঙ্গে গাদাগাদি করে বসবাস করেন। এই রকম পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব মানা বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রায় অসম্ভব।