মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে রাশিয়ার ভয়াবহ বিমান হামলায় তুরস্ক সমর্থিত অর্ধশতাধিক মিলিশিয়া যোদ্ধার প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কিছু লোক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে হামলাটি চালানো হয়েছে।
রাশিয়ার বিমান বাহিনীর রোমহর্ষক সেই আক্রমণের কারণে অঞ্চলটিতে সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফায়লাক আল-শাম নামের একটি ইসলামিস্ট গ্রুপের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে। এই আক্রমণের ফলে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতা ও পর্যবেক্ষণে ইদলিবে যে যুদ্ধবিরতি চলছিল তা লঙ্ঘন করা হলো।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ভয়াবহ সেই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, হামলায় আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, গত মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইদলিবের উত্তর-পশ্চিমের হারেম অঞ্চলে এই হামলা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ।
ওই যুদ্ধবিরতির পর ইদলিবে হামলা বন্ধ রাখে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এর ফলে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তুরস্ক সমর্থিত মিলিশিয়াদের হাতে। ওই অঞ্চলে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।
এ দিকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর তুরস্ক জানায়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্ররা কোনো হামলা চালালে ‘পুরো শক্তি দিয়ে পাল্টা জবাব’ দেওয়ার অধিকার রাখে আঙ্কারা। বিদ্রোহী ও জিহাদিদের শেষ ঘাঁটি হচ্ছে ইদলিব।