কোরবানি মনে হচ্ছে স্যাক্রিফাইস বা উৎসর্গ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রিয় জিনিস উৎসর্গই হচ্ছে কোরবানি। হযরত ইব্রাহিম (আ) আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পুত্র ইসমাইল (আ) কে কোরবানি দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। ইব্রাহিম (আ) তো আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তিন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কি হতে পারবেন?
পারবেন কি মনের পশুকে কোরবানি দিতে?
পারবেন কি হিংসা, লোভ, অহংকারকে কোরবানি দিতে?
পারবেন কি ঝগড়া, ফ্যাসাদ, হানাহানি, মারামারি, দ্বন্দ্ব–সংঘাতকে কোরবানি দিতে?
পারবেন কি নিজের মাঝে লুকিয়ে থাকা কুপ্রবৃত্তি, কু–অভ্যাস, কু–চিন্তা কে কোরবানি দিতে?
পারবেন কি নিজের মধ্যে জমে থাকা ঘৃণা, দম্ভ, আত্মঅহমিকা, বড়াই এসবকে চিরতরে কোরবানি দিতে?
পিতা ইব্রাহিম (আ) পুত্র ইসমাইল (আ) কে কোরবানি তো ছিল পরীক্ষা মাত্র, যে আপনার প্রিয় জিনসকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করতে আপনার বিন্দুমাত্র সংশয় থাকবে না। আজকে অন্যের সমালোচনা আপনার প্রিয়, নিজেকে নিয়ে বড়াই করে মজা পান, অন্যের বিপদ দেখলে তৃপ্ততা পান, অন্যকে বিপদে ফেলতে পারলে আনন্দ পান, নিজেকে বড় এবং অন্যকে ছোট করতে পারলে স্বর্গসুখ অনুভব করেন। এ সবকিছুই আপনার প্রিয়। এবার এসব প্রিয় জিনিসকে কোরবানি করে দেখান তো, বড় বড় পশু তো অনেকই কোরবানি করলেন।
কোরবানির ঈদ মুসলমানদের জন্য এক অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মুসলমানমাত্রই এর গুরুত্ত্ব অপরিসীম। সামর্থবানদের জন্য কোরবান অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু কোরবানি হচ্ছে একটা প্রতীক মাত্র, আল্লাহ মানুষের যেসব কর্মে অসুন্তুষ্ট হয় সেসব কর্মকে নিজের প্রিয় হলেও পরিত্যাগ করাটাই হচ্ছে কোরবানির বাস্তব রূপ।
ঈদ মোবারক।