লিমেরিকের কাউন্সিলরের সাথে বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলরের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিকের সাথে বুয়েটের মধ্যে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ছাত্রদের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সাক্ষরিত হয়

0
386

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ভাইস চ্যান্সেলর জনাব সত্য প্রসাদ মজুমদার বর্তমানে আয়ারল্যান্ড সফরে আছেন ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিকের সাথে নতুন একটি চুক্তি সাক্ষরের উদ্দেশ্যে। তিনি গতকাল ১৪ই মার্চ লিমেরকিকের কাউন্সিলর ও মেট্রোপলিটন মেয়র জনাব আজাদ তালুকদারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ভাইস চ্যান্সেলর গতকাল মেয়রাল অফিসে গমন করেন ও জনাব আজাদ তালুকদারের সাথে সাক্ষাতে তাঁর ভ্রমণের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন ও ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিকের সাথে বুয়েটের গ্লোবাল পার্টনারশিপের মাস্টার্স প্রোগ্রামের একটি চুক্তি সাক্ষরের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।

সত্য প্রসাদ মজুমদারের সাথে আলোচনার মুহূর্ত

ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিকের সাথে বুয়েটের মধ্যে অ্যাপ্লাইড পিজিক্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্স প্রোগ্রামের ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এতে বুয়েটে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে।

চুক্তিটা এমন যে, বুয়েটে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ৩ বছর পর ক্রেডিট ট্রান্সফার করে শেষ বছর ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরকে অধ্যয়ন করতে পারবে। যারা মাস্টার্স প্রোগ্রামে আসবে তারা মাস্টার্স করতে পারবে একইভাবে। এতে করে ওই শিক্ষার্থীগন উভয় BUET এবং UL থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করবে। একই সাথে দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফাই হওয়া অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য একটা স্বপ্নিল ব্যাপার।

চুক্তির প্রাক্বালে জনাব সত্য প্রসাদ মজুমদারের সাথে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের আরেক প্রফেসর জনাবা ফাহমিদা গুলশান।

গতকাল LinkedIn এর এক পোস্টে ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরকের ইন্টারন্যাশনাল হায়ার এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের ফুল প্রফেসর এবং গ্লোবাল ও কমিউনিটি এংগেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট Nigel Healey চুক্তির বিষয়টি অফিশিয়ালি প্রকাশ করেন।

Satya Prasad Majumder_BUET_University of Limerick

জনাব আজাদ তালুকদার উক্ত চুক্তির ভূয়সী প্রশংশা করেন এবং ভাইস চ্যান্সেলরকে যে কোনো ধরণের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। জনাব তালুকদার বাংলাদেশ থেকে আরো ছাত্রছাত্রীদেরকে আয়ারল্যান্ডে অধ্যয়নের দ্বার উন্মোক্ত করার জন্য জনাব সত্য প্রসাদ মজুমদারকে অনুরোধ জানান।

এছাড়াও জনাব সত্য প্রসাদ মজুমদারের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে উপস্থিতভাবে উপস্থিত ছিলেন অল বাংলাদেশি এ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মনিরুল ইসলাম মনির, বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক জনাব সাজেদুল চৌধুরী রুবেল, জনাব চঞ্চল দেলোয়ার, জনাব নজরুল ইসলাম ও মিডিয়ার পক্ষ থেকে আইরিশ বাংলা টাইমসের বার্তা সম্পাদক জনাব ওমর এফ নিউটন।

ভাইস চ্যান্সেলরকে শিশির ঝরা কবিতা ও এবার তোরা মানুষ হ বইগুলো উপহার দেন দুই লেখক

জনাব সাজেদুল চৌধুরী রুবেল তাঁর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ”শিশির ঝরা কবিতা” এবং জনাব ওমর এফ নিউটন তাঁর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘’এবার তোরা মানুষ হ’’ বইটি ভাইস চ্যান্সেলর জনাব সত্য প্রসাদ মজুমদারকে উপহার হিসেবে প্রদান করেন। উপহার গ্রহণ করে তিনি উচ্ছ্বসিত হন।

সিটি মেয়র জনাব আজাদ তালুকদারের অফিসে বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর
সত্য প্রসাদ মজুমদারের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

সত্য প্রসাদ মজুমদার বুয়েট থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (ইইই) বিভাগে ১৯৮১ সালে স্নাতক ও ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি এই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), খাড়্গপুর থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্র হিসেবে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ৪ বছরের স্নাতককালীন তিনি মেধাবৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে বুয়েট থেকে স্নাতকোত্তরে তার গবেষণার বিষয় ছিল মূলত মাইক্রোপ্রসেসর-নিয়ন্ত্রিত টেলিফোন শাখা এক্সচেঞ্জ। ১৯৮৭ সালে ভারত সরকার তাকে খড়গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (আইআইটি) পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হওয়ার জন্য বৃত্তি প্রদান করে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইন রাডার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এ ফাইবার অপটিক্স নিয়ে তার গবেষণা কাজ তিনি চালিয়ে যান। তিনি পারমা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইতালির জাতীয় গবেষণা পরিষদ (সিএনআর) থেকে টেলিযোগাযোগ প্রকল্পে পিএইচডি করার জন্য গবেষণা সহায়তা পেয়েছিলেন।

উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পূর্বে তিনি প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও ইইই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বপালন করেছেন। (সূত্রঃ উইকিওয়ান্ড)

কমিউনিটির সাথে জনাব সত্য প্রসাদ মজুমদার
Facebook Comments Box