![](https://irishbanglatimes.com/wp-content/uploads/2020/06/aHR0cHM6Ly93d3cuZGFpbHlqYW5ha2FudGhhLmNvbS9jbG91ZC11cGxvYWRzL2RlZmF1bHQvYXJ0aWNsZS1pbWFnZXMvMjAyMDA2LzE1OTE3Nzc5NzRfNDQuanBn-1.jpg)
একইসঙ্গে তিন বাহিনীর তিন প্রধানকে বরখাস্ত করলেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। লকডাউন ভাঙার দায়ে দেশের সেনা, পুলিশ এবং গোয়েন্দা প্রধানকে রাতারাতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেন তিনি। সমগ্র পৃথিবীতে মহামারি হয়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার এই কালে লকডাউন এর জন্য এমন কড়া অবস্থান আর কোনো দেশকে নিতে দেখা যায়নি। মাত্র কয়দিন আগে সপরিবারে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভবত এমন কড়া অবস্থানে যেতে পেরেছেন এই রাষ্ট্রনায়ক।
নিজ দেশ তথা সারা পৃথিবীর জন্য এই ক্রান্তিকালে তিন বাহিনীর প্রধানদের এই আচরণে যে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন আর্মেনিয়ার এই সরকারপ্রধান, তা এই বরখাস্তের পদক্ষেপের মধ্যেই পরিষ্কার হয়েছে। সেটা জানিয়েও দিয়েছেন এই বলে, ‘তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই আচরণ কাঙ্ক্ষিত ছিল না। করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে এরা তিনজনই দেশের জন্য বাজেভাবে উদাহরণ তৈরি করেছেন।’
তবে তিন বাহিনীর তিন প্রধান কী ভাবে লকডাউন ভেঙেছেন বা তাদের দোষটা ঠিক কি ধরনের ছিল , তা প্রকাশ্যে উল্লেখ করেননি নিকোল পাশিনিয়ান। আর্মেনিয়ার প্রথম দিকের একটি দৈনিকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই করোনা সংকটের মধ্যে সামরিক বাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লকডাউন অগ্রাহ্য করে তার ছেলের বিয়েতে বড় করে পার্টি দেন। দেশে সামাজিক সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সামরিক বাহিনীর প্রধান তা বিবেচনায় রাখেননি।
এরপর কাগজে ফলাও করে এই বিয়ের খবর প্রকাশ করার পরদিনই প্রধানমন্ত্রী তার দেশের সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে বরখাস্তের কথা ঘোষণা দেন। তিন প্রধানকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন, দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারাই যদি নিয়ম ভাঙেন, শীর্ষপদে থাকার সুযোগে আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেন, সেক্ষেত্রে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের কাছে কী শিখবে?
বরখাস্ত কর্মকর্তাদের কেউই শাস্তি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি।