এছাড়াও লাশ পাঠানোর খরচ ও জটিলতার কারণে কিংবা অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে লাশ দেশে পাঠানো সম্ভবপর হয়ে ঊঠেনা। সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েও অনেক সময় বিদেশের মাটিতেই লাশ দাপন করতে হয়।
মুসলিম সংখ্যালঘু দেশগুলাতে মুসলমানদের লাশ দাপনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে মুসলিম কবরস্থানের জন্য স্বতন্ত্র নির্ধারিত জায়গা। এখানকার কতৃপক্ষের প্রশ্ন, কেন মুসলমানদের জন্য আলাদা কবরস্থান লাগবে? তাদের কথা সবাইকে যেখানে সমাধিস্থ করা হয় সেখানে মুসলমানদের করলে সমস্যা কোথায়? হ্যাঁ তাদের যুক্তি ফেলে দেয়ার মত নয়, কিন্তু আমরা মুসলমানরা জানি ও বুঝি কেন আমাদের আলাদা কবরস্থান দরকার। আয়ারল্যান্ডে যদিও কতৃপক্ষ থেকে কিছু স্থানে আলাদা করে কবরস্থানের জায়গা দেয়া হয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত ও পুর্নাঙ্গ নয়।
আশার খবর হল, এই সমস্যা উত্তরণে কমিউনিটির অন্যান্য সাহায্যের পাশাপাশি মুসলমানদের পূর্ণাঙ্গ কবরস্থানের জন্য এগিয়ে এসেছেন লিমেরিক সিটি কাউন্সিলর জনাব আজাদ তালুকদার। আগেই বলেছি কতৃপক্ষ এর ধারণা নেই আসলে কেন মুসলমানদের আলাদা কবরস্থান দরকার, সে ধারণা দেয়ার জন্যই মাধ্যম হিসেবে আছেন জনাব আজাদ তালুকদার এবং তিনি তাঁর অবস্থান থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে প্রাথমিকভাবে কাউন্সিল থেকে ৫০০০০ ইউরো প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। জনাব আজাদ তালুকদারের পরিকল্পনা হচ্ছে তিনি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একটা সুবিধানুযায়ী জায়গা কবরস্থানের আওয়তায় নিয়ে আসা। এরপর ধাপে ধাপে কবরস্থানের উন্নয়ন সাধন করা।
জনাব আজাদ তালুকদার যেহেতু লিমেরিক এর কাউন্সিলর সে হিসেবে প্রাথমিকভাবে লিমেরিকের জন্যই বরাদ্দ পাচ্ছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর ইচ্ছা আয়ারল্যান্ডের সব কাউন্টিতেই যেন মুসলমানদের জন্য আলাদা কবরস্থান থাকে সে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ জনাব আজাদ তালুকদারকে, ধন্যবাদ লিমেরিক সিটি কাউন্সিলকে; আয়ারল্যান্ডে অবস্থানরত সমগ্র মুসলমানের ইচ্ছা ও স্বপ্নপূরণে সাথে দাঁড়াবার জন্য।