![](https://irishbanglatimes.com/wp-content/uploads/2020/06/aHR0cHM6Ly93d3cuZGFpbHlqYW5ha2FudGhhLmNvbS9jbG91ZC11cGxvYWRzL2RlZmF1bHQvYXJ0aWNsZS1pbWFnZXMvMjAyMDA2LzE1OTE3ODYyNDlfNjEucG5n-1.jpg)
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ৪টি ও ফুলছড়ি উপজেলার একটি ব্রীজ ও সড়ক দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় এই দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে এলাকার জনগণ ও যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের প্রথমদিকে ভয়াবহ বন্যায় সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া-রামনগর-গোবিন্দগঞ্জ সড়কটির উপর নির্মিত তিনটি সেতু বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙ্গে যায়। এছাড়া বন্যার পানির স্রোতে ফুলছড়ি উপজেলার কেতকিরহাট বাজারে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ফলে গাইবান্ধা-কঞ্চিপাড়া-কেতকিরহাট পাকা সড়কের কেতকিরহাট বাজারে প্রায় ৫০ ফুট অংশ ভেঙ্গে যায়। এর পরে ওই সড়কে প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের একটি কাঠের সাঁকো তৈরী করে স্থানীয়রা। তাছাড়াও সাঘাটায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমে মানুষ যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রসঙ্গত গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ি গত বছর ২০১৯ সালের বন্যায় জেলার সাতটি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের ৩৮৩টি গ্রামের ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়। প্রায় ৫৭৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ২৩৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় , যার অধিকাংশই এখনও সংস্কার করা হয়নি।
এই বিষয়ে গাইবান্ধা এলজিইডি কে জানানো হয়, গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ কালভার্টের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।