খোলস পালটানো মানুষগুলো অনবরত বিচিত্র সব স্বপ্ন দেখছে
নিজেকে পরিপাটি রেখে নিরাভরণ করছে অনাগত পঞ্জিকার পাতা,
কার পাটিতে কতগুলো দাঁত;
তার হিসাব কষতে ভাঙছে একের পর এক ক্যাল্কোলেটার।
যখন কুয়াশার নেকাবে ঢাকা পড়ে চাঁপারঙ শাড়ি
বিষধর সাপের ছোবলে;
ঝরে যায় কিশোরীর সাবলীল পাপড়ি!
তখন আমি জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড দেখি আগত স্বর্গের দ্বারে।
হাজারো পথিকের ভীড়ে কাঁদছে মেয়ে শিশুটি
যে পেরোয়নি এখন ও কৈশোরের আঙ্গিনা!
সেদিন কান্না দেখে হাসলো লালায়িত মানুষ
দুর্বোধ্য জল এসে ভাসালো আমাদের সমস্ত বোধের জমিন।
মহাকালের আয়নায় হেঁটে যায় ছারপোকা;
লেপ্টে থাকে কিছু শুকনা ফড়িঙের ডানা, অরণ্যচারী মন খুঁজে পায়
হাজার বছরের মৃত ফসিলের পায়ের গোড়ালি
আজও মানুষ খুঁজে পায়নি মৃত্যুর রহস্য।
পদাতিক আমি ভেতরে ভেতরে পুড়ি
আত্বস্থ করি মানুষ নামের সূত্র!
যদিও জানি, যেদিন প্রতিবিম্বে উঠে আসবে পূর্ণাঙ্গ মানুষের অবয়ব
সেদিন ঘৃণায় আমার মৃত্যু অনিবার্য।