বাংলাদেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে গণস্বাস্থ্যের অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের চমকপ্রদ তথ্য বিশ্লেষণ-
বাংলাদেশে এরই মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে গেছেন এবং আক্রান্তরা সুস্থও হয়ে উঠেছেন, তারা যে আক্রান্ত হয়তবা তারা নিজেই তা জানেন না।
উপসর্গ হিসেবে তাদের হয়তবা সামান্য জ্বর হয়েছে, কাশি হয়েছে কিংবা শারিরীক দুর্বলতা অনুভব করেছেন। ইউরোপ’সহ উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ইউরোপের মানুষের ইমিউন ব্যবস্থা ‘স্ল্যাগিশ’।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের তীব্রতা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কমে গেছে। এখানে ইমিউন সিস্টেমসহ বেশ কিছু বিষয় কাজ করেছে। তবে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস যদি জানুয়ারিতে আসত তাহলে এর তীব্রতা আরও বেশি হতো। মার্চে যেহেতু এসেছে, সে কারণে বাংলাদেশে করোনার তীব্রতা কম দেখা যাচ্ছে।
হার্ড ইউমিনিটির লক্ষে পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষকে আক্রান্ত হতে হবে যা আগামী এক মাসের মধ্যে ঘটতে পারে বলে আমি মনে করি।
হার্ড ইমিউনিটি হচ্ছে এক ধরনের ‘কমিউনিটি ইমিউনিটি’ যখন সমাজের অনেক বেশি জনগোষ্ঠীর মাঝে কোনো সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
যার ফলে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই কিংবা দুর্বল, তাদেরও ওই রোগ হতে পরোক্ষভাবে সুরক্ষা দেয়া যায়।
করোনা যেহেতু চারিদিকে ছড়িয়েছে সেহেতু আমরা যতই ঘরে লুকিয়ে থাকি করোনা কাউকেই ছাড়বে না। ঝড় হলে যেমন প্রত্যেক গাছকেই টাচ করে যায় করোনাও তেমনি আমাদের প্রত্যেককে আক্রান্ত করবে।
এক্ষেত্রে যাদের বয়স বেশি অন্যান্য অসুস্থতা আছে তাদের ঝুঁকি বেশি আর যারা শক্ত-পোক্ত মনোবল দৃঢ়, তাদের ভয় কম।
-ড. বিজন কুমার শীল
অণুজীববিজ্ঞানী ও অধ্যাপক,
গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস।