চীনে তৈরী হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন

0
660

করোনা ভাইরাসের জন্য পুরো বিশ্ব যেন থমকে গেছে ,চলছে তোলপাড় । ভ্যাকসিন এর খোঁজে অন্তত ৮০টি জায়গায় স্বতন্ত্র গবেষণা চলছে অনবরত । অনেকের ই দাবি , প্রায় সেরে ফেলেছেন গবেষণা। এক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে সিনোভাক – একটি চীনা প্রতিষ্ঠান ।
শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছে তারা । করোনা ঠেকাতে তাদের গবেষণাগারে তৈরী ভাক্সিনই সাহায্য করবে বলে দাবি করছেন তারা ।

করোনায় আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ।এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তাই সিনোভাক খুব শীঘ্রই গণহারে উৎপাদন করতে চায় তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন । সিনোভাকের দাবি, বানরের শরীরে অভুতপূর্ব সাফল্য মিলেছে এই ভ্যাকসিনের।
করোনার এই দুঃসময়ে যে চারটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে চীন, তার একটি পরিচালনা করছে সিনোভ্যাক বায়োটেক। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। ভ্যাকসিনটি সদ্যই মানব শরীরে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। একটি নিষ্ক্রিয় প্যাথোজেনের ওপর ভিত্তি করে এই
ভ্যাকসিনটি নাম করোনাভ্যাক । এই ভ্যাকসিনের হাজারো শট সাদা-কমলা রঙের একটি প্যাকেজে সজ্জিত করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি প্রায় তৈরি হয়ে গেছে।
ভ্যাকসিনটির অনুমোদন পেতে সময় লাগবে অনেক দিন ।। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কম্পানিটিকে এটাও দেখাতে হবে যে, তারা বৃহৎ পরিসরে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে এর আগে সোয়াইন ফ্লু’র ভ্যাকসিনও গণ হারে উৎপাদন করেছিল সিনোভাক। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই সংস্থাটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে।
সিনোভ্যাক চীনের একশ ৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা চালিয়েছে। তারা এই পরীক্ষাটি করেছে পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশের অধিবাসীদেড় উপর । ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর প্রথম দুটি পর্যায়ের পরে জুনের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটির আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী কম্পানিটি।
পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন হলেই নির্ধারণ করা যাবে ভাইরাসের বাহকের মধ্যে ভ্যাকসিনটি কার্যকর কি-না। তবে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক না পাওয়ায় তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে হচ্ছে তারা । কারণ, চীনে ভাইরাসটির সংক্রমণ কমে গেছে ।
সিনোভ্যাক নামক এই সংস্থাটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক পরিচালক মেং উইং বলেন, বর্তমানে আমরা ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছি। তৃতীয় ধাপের জন্য কয়েক হাজার লোকের প্রয়োজন হবে। তবে ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য কোন দেশ থেকে এই পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবী পাওয়া সহজ নয়। পরবর্তী ধাপে সাফল্য পেলেও সিনোভ্যাক পুরো বিশ্বের জনগণের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টিকা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

Facebook Comments Box