
মোটেও উদ্দেশ্য ছিলনা কিলকেনীর সেই অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে আবারো দুই কলম লিখবো। কিন্তুু ভাগ্যের লিখন কি আর খন্ডানো যায় ? কমিউনিটির অত্যন্ত চেনা মুখ এবং অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী একজন লেখকের লেখা “গল্পে গল্পে নৈতিকতা ” নামক প্রবন্ধটি হঠাৎ করে চোখে পড়লো ! সাঝানো-গুছানো লিখার মধ্যে প্রাকৃতিক ছবিগুলো প্রবন্ধের সুন্দরতা বর্ধন করেছে।
গল্পটি মনযোগ দিয়ে পড়লাম এবং জানার চেষ্টা করলাম । লেখক, কেলকেনীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত উদহারণ ও যুক্তি গল্পে প্রয়োগ করেছেন প্রবন্ধকে অর্থবহ করতে, সেটি প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তুু এই ধরণের উদ্বুত পরিস্হিতি মোকাবেলা সহ কমিউনিটির উত্তরণের পথ খোঁজে পাইনি প্রবন্ধে। সেই প্রথাগত ভালোবাস,ক্ষমা, উদারতা এই সব স্হান পেয়েছে প্রবন্ধে।
নৈতিকতার পদস্খলন কিভাবে ঘটে ? এবং নৈকিতকতা শেখার উপায়গুলো লেখক তাঁর প্রবন্ধে ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পের অন্তরালে । কিন্তুু গল্প আসলে গল্পই ! গল্প থেকে মানুষ তেমন কিছু শিখে না। গল্প থেকে মানুষ যদি কিছু শিখতো তাহলে পৃথিবীর চেহারাটা আজ অন্যরকম হতো। এমনকি অনেক সময় গল্পের লেখকদের চরিত্রের মধ্যে সেই উপাদানগুলো খোঁজে পাওয়া যায় না। প্রকৃতপক্ষে, কোনো কিছু শেখাটা নির্ভর করে মানুষের ইচ্ছের উপর, গল্পের উপর নয়। লেখক সহ প্রবন্ধের লিংক এখানে দিলাম। আপনারা দেখে নিতে পারেন। https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10223396204345655&id=1003260649
তবে প্রবন্ধটি যেহেতু আমার নয় এবং উনারমত একজন গুণী প্রাবন্ধিক,কবি ও বিশ্লেষকধর্মী ব্যক্তির প্রবন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কলম ধরার মত সাহস ও যোগ্যতা এই অধমের নেই। সংঘত কারণে পাঠকরা বুঝতেই পারছেন এই ধরণের অসমতা নিয়ে একজন অভিজ্ঞ লেখকের বিরুদ্ধে কলম ধরা রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। আর এই ধরণের যুদ্ধে যখন ঢাল- তলোয়ার না থাকে তখন ব্যাপারটা আরো যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তাহা কি ভেবে দেখেছেন ?আবার নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর লোভ সামলাতে পারছিনা বিধায় ইত্যপরিসরে একজন আনাড়ি যুদ্ধা হিসেবে নিধিরাম সর্দারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হলাম। দেখা যাক সামনের দিনে কি হয়।
লেখক প্রবন্ধের শুরুতেই দাদা নামক এক অসীম বুজুর্গ ব্যাক্তির সাথে আলোচনার সুত্র দিয়ে তাঁর প্রবন্ধ শুরু করেছেন, এবং দাদার বর্ণনা মোতাবেক বোধিস্বত্ত্ব নামক এক সোনার হরিণের গল্প দিয়ে প্রবন্ধ শেষ করেছেন। গল্পের সেই সোনার হরিণের কাছ থেকে এক কতিথ রাজ্যের রাজা_প্রজারা যে, বোধশক্তি শিখেছেন সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে লেখকের গল্পে। বিজ্ঞানের এই যুগে মানুষ যেখানে মহাকাশ জয় করছে সেখানে জঙ্গলে থাকা জীবের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হচ্ছে বোধশক্তি ! ব্যাপারটি বেশ চমকপদ ।