আর্টিকেলটি পঠিতঃ ৯০৫
মোটেও উদ্দেশ্য ছিলনা কিলকেনীর সেই অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে আবারো দুই কলম লিখবো। কিন্তুু ভাগ্যের লিখন কি আর খন্ডানো যায় ? কমিউনিটির অত্যন্ত চেনা মুখ এবং অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী একজন লেখকের লেখা “গল্পে গল্পে নৈতিকতা ” নামক প্রবন্ধটি হঠাৎ করে চোখে পড়লো ! সাঝানো-গুছানো লিখার মধ্যে প্রাকৃতিক ছবিগুলো প্রবন্ধের সুন্দরতা বর্ধন করেছে।
গল্পটি মনযোগ দিয়ে পড়লাম এবং জানার চেষ্টা করলাম । লেখক, কেলকেনীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত উদহারণ ও যুক্তি গল্পে প্রয়োগ করেছেন প্রবন্ধকে অর্থবহ করতে, সেটি প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তুু এই ধরণের উদ্বুত পরিস্হিতি মোকাবেলা সহ কমিউনিটির উত্তরণের পথ খোঁজে পাইনি প্রবন্ধে। সেই প্রথাগত ভালোবাস,ক্ষমা, উদারতা এই সব স্হান পেয়েছে প্রবন্ধে।
নৈতিকতার পদস্খলন কিভাবে ঘটে ? এবং নৈকিতকতা শেখার উপায়গুলো লেখক তাঁর প্রবন্ধে ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পের অন্তরালে । কিন্তুু গল্প আসলে গল্পই ! গল্প থেকে মানুষ তেমন কিছু শিখে না। গল্প থেকে মানুষ যদি কিছু শিখতো তাহলে পৃথিবীর চেহারাটা আজ অন্যরকম হতো। এমনকি অনেক সময় গল্পের লেখকদের চরিত্রের মধ্যে সেই উপাদানগুলো খোঁজে পাওয়া যায় না। প্রকৃতপক্ষে, কোনো কিছু শেখাটা নির্ভর করে মানুষের ইচ্ছের উপর, গল্পের উপর নয়। লেখক সহ প্রবন্ধের লিংক এখানে দিলাম। আপনারা দেখে নিতে পারেন। https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10223396204345655&id=1003260649
তবে প্রবন্ধটি যেহেতু আমার নয় এবং উনারমত একজন গুণী প্রাবন্ধিক,কবি ও বিশ্লেষকধর্মী ব্যক্তির প্রবন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কলম ধরার মত সাহস ও যোগ্যতা এই অধমের নেই। সংঘত কারণে পাঠকরা বুঝতেই পারছেন এই ধরণের অসমতা নিয়ে একজন অভিজ্ঞ লেখকের বিরুদ্ধে কলম ধরা রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। আর এই ধরণের যুদ্ধে যখন ঢাল- তলোয়ার না থাকে তখন ব্যাপারটা আরো যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তাহা কি ভেবে দেখেছেন ?আবার নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর লোভ সামলাতে পারছিনা বিধায় ইত্যপরিসরে একজন আনাড়ি যুদ্ধা হিসেবে নিধিরাম সর্দারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হলাম। দেখা যাক সামনের দিনে কি হয়।
লেখক প্রবন্ধের শুরুতেই দাদা নামক এক অসীম বুজুর্গ ব্যাক্তির সাথে আলোচনার সুত্র দিয়ে তাঁর প্রবন্ধ শুরু করেছেন, এবং দাদার বর্ণনা মোতাবেক বোধিস্বত্ত্ব নামক এক সোনার হরিণের গল্প দিয়ে প্রবন্ধ শেষ করেছেন। গল্পের সেই সোনার হরিণের কাছ থেকে এক কতিথ রাজ্যের রাজা_প্রজারা যে, বোধশক্তি শিখেছেন সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে লেখকের গল্পে। বিজ্ঞানের এই যুগে মানুষ যেখানে মহাকাশ জয় করছে সেখানে জঙ্গলে থাকা জীবের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হচ্ছে বোধশক্তি ! ব্যাপারটি বেশ চমকপদ ।
অবশ্যি লেখক উক্ত প্রবন্ধে দাদা নামক সেই ভদ্রলোকের নাম প্রকাশ করেননি। তাই দাদাকে আমি একটি কাল্পনিক চরিত্র হিসেবে ধরে নিয়েছি। এবং সেই ভাবে এগুতে চাই।
আমাদের সমাজে দাদারা কেমন হয়ে থাকেন তাঁর একটি বৈশিষ্টের কথা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় লেখক তুলে ধরেছেন তাঁর এই প্রবন্ধে। দাদার জ্ঞানের কথা বলতে ভুলেননি লেখক। শুধু একাডেমিক শিক্ষার মধ্যে জ্ঞান থাকেনা কিংবা বিএ/এম এ ডিগ্রি থাকলে একজন জ্ঞানী হয়না সেটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেখক বুঝাবার চেষ্টা করেছেন। সুপ্রিয় পাঠক, আপনাদের দাদাদের চরিত্র কেমন সেটা আমি বলতে পারবো না তবে আমার দাদার চরিত্র বেশ জঠিল ছিলো সেটি বলতে পারি। ঠিক মত পড়া-লেখা না করার কারণে ছোট বেলায় দাদার হাতের লাঠির কত যে গুতা খেয়েছি তাঁর ইয়াত্তা নেই।
আলাপচারিতার প্রারম্ভিকে দাদা নামক সেই ভদ্রলোক টুর্নামেন্টে ঘটে যাওয়া গলযোগের নিন্দা করেছেন লেখকের কাছে। যথারীতি সবার মত উদ্যেগের প্রশংসা করলেও পরবর্তীতে দাদা কর্তৃক উত্থাপিত — গোল্ড কাপ কে দিলো? “বিডি-সি ফুড” কি স্বার্থে এত মূল্যবান গোল্ড কাপ প্রদান করলো ? আসলেও কি এটা গোল্ডের কাপ?” এই প্রশ্ন সম্বলিত বিষয়গুলো আমার মনে বিরক্তির জন্ম দিয়েছে। দাদার অনুসন্ধানি মন জানতে চেয়েছে এই সব সামাজিক কার্যক্রম থেকে স্পনসরের কি লাভ ? দাদার এই প্রশ্নগুলোর বহিঃপ্রকাশের ভিতর দিয়ে তাঁর ভিতর বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় “ইয়াস”এর কিছুটা আলামত আমি অনুভব করেছি।
দাদার এহেন মন্তব্যের উপর এতঠুকু বলতে চাই, প্রকৃত অর্থে আমরা কেউই উদ্দেশ্যবিহীন নই। যিনি এই প্রবন্ধ লিখেছেন তাঁরও একটি উদ্দেশ্য আছে। দাদার মন্তব্যের পিছনেও একটা উদ্দেশ্য আছে।আমি যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে রামায়ণের গীত গাইছি তাঁর পিছনেও একটা উদ্দেশ্য আছে। সে অর্থে আমরা সবাই উদ্দেশ্যের পূজারী।
লেখক যখন এই প্রবন্ধের শুরুতে দাদা নামক উক্ত বুজুর্গ ব্যক্তির কিছু গুনগান চর্চা করছিলেন তখন আমি দাদা’কে একটু অন্যরকম ভেবেছিলাম। অন্য আরো দশজনের মত মনে করিনি। ভেবেছিলাম তিনি একজন সাধাসিধে মানুষ। কিন্তু কমিউনিটির জন্য একটু নির্মল আনন্দের ব্যবস্হা করতে গিয়ে বিডিসি ফুড সহ আয়োজকরা তাঁর কি এবং কিসের প্রশ্নবানে জর্জরিত হবার মানসিকতা দেখে আমি হতবাক এবং খুবই কষ্ট পেয়েছি। তাঁর প্রশ্নগুলোর ধরণ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে,তিনি বিডিসি ফুডের কাপের ভিতর কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছেন !!
গোল্ড কাপের ব্যাখা দিতে গিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসকে টেনে আনা হয়েছে গল্পে। ফিফা কর্তৃক প্রদত্ত “ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি”র ১৮ ক্যারেট সোনার কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের মত শ্রেষ্টতম একটি মর্যাদাশীল লড়াইয়ের সাথে বিশ্বের মহাক্ষুদ্র আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের তুলণা করাকে আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। তবে এই প্রবন্ধের ভিতর দিয়ে বিশ্বকাপের যে জ্ঞানগর্ভ ইতিহাস চর্চা করা হয়েছে সেটির জন্য দাদা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। আমার বিশ্বাস আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীরা কৃতার্থের সাথে তাঁর এই শিক্ষনীয় অবদানকে দীর্ঘ দিন মনে রাখবেন।
এখানকার ছোট্ট কমিউনিটি এমনিতেই নানা ভাগে বিভক্ত। রাজনৈতিক কাদাঁ ছুড়াছুরি কারণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের মত নির্দলীয় অনুষ্টানগুলো দলীয় ঘরনায় পালিত হয়। সেই বিভক্তি ভুলার জন্য সবাই যদি একটি উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে কিছুক্ষণ এক সাথে আনন্দ-উল্লাস করতে পারেন তাহলে সেটি কোনোভাবে কমিউনিটির জন্য অমঙ্গল নয় ? গোল্ড কাপ নাম দিয়ে সেখানে গোল্ড না দেওয়া কোনো প্রতারণাও নয়। কিন্তুু সেই আনন্দ-উৎসবের মাঝেও যখন বিছু মানুষ আঙুল দেই তখন তাদের জন্য সত্যি করুণা হয়।
গোল্ড কাপে কেন গোল্ড নেই ? গোল্ড বিহীন কাপ লোলা ? এই সব নিয়ম-নীতির সবক দিতে গিয়ে তাঁরা যখন আশে পাশের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেন তখন তাদের জন্য কষ্ট হয়। একটি বিষয়কে প্যাচিয়ে প্যাচিয়ে তাঁর ভিতর থেকে রস বের করা ছাড়া পর্যন্ত তাদের শান্তি নেই। অথচ তাদের কাছে সুন্দর সমাধানও নেই।
কিলকেনীর ঘটনায় সমালোচনাকারীদের কথা-বার্তা শুনে মনে হচ্ছে,– গোল্ড কাপ নাম ব্যবহার করে সেখানে গোল্ড না দিয়ে এই ধরণের ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আয়োজকরা মহা বড় অপরাধ করে ফেলেছেন ! আর এর মাধ্যমে কমিউনিটির সকল নৈতিকতার আত্মাহুতি ঘটেছে।
অথচ কাপে গোল্ড ছিলো কি ছিলোনা সেটি নিয়ে সে দিন মাঠে গলযোগ সৃষ্টি হয়নি। সে দিন মাঠে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণকে কেন্দ্র করে অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হয়। তাহলে এই প্রকৃত বিষয়ের উপর যথাযথ আলোকপাত এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের উদ্বুত পরিস্হিতি কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে পথ না খোঁজে অহেতুক গোল্ডের বিষয়কে কেন এত হাইলাইট করা হচ্ছে ? কমিউনিটিতে এই বদ অভ্যাসের ধারা অব্যাহত থাকলে নৈতিকতা শেখার পরিবর্তে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য বাড়া ছাড়া কমবে না।
ঠিক আছে যুক্তির খাতিরে ধরে নিচ্ছি, নৈতিকতার মানদন্ডে সোনার কাপে সোনা না থাকাটা অশোভনীয় দেখায় কিন্তুু এই ধরণের কাজের সুন্দন জবাব দেবার জন্য কি বিকল্প রাস্তা নেই । গঠনমুলকভাবে কি এর জবাব দেওয়া যেতে পারেনা ? এই প্রশ্নগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক ।
উত্তরে বলবো হ্যাঁ ছিলো। অনলাইন কিংবা অফলাইনে এইভাবে অহেতুক কাদাঁ ছুড়াছুরি না করে সোনা খচিত কাপের নতুন একটি টুর্নামেন্টের ব্যবস্হা করেই তো সমালোচনাকারীরা এর পাল্টা জবাব দিতে পারেন। এই সুযোগটি সবার সামনে রয়েছে। এবং ভবিষ্যতের জন্য কমিউনিটির সামনে সেটি হতে পারে একটি সুস্হ প্রতিযোগিতার উৎকৃষ্ট উদহারণ। কিন্তুু সেটি না করে কাগজ-কলমে যেগুলো করা হচ্ছে সেগুলো মুলত এক ধরণের অসুস্হ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ।
সবার মনে রাখা উচিত অসুস্হ প্রতিযোগিতা দিয়ে আর যাই হউক একটি সুন্দর সমাজের ভালো ভিত্তি গড়ে ওঠেনা। নির্মল হাসি, আনন্দ ও উচ্ছাস যে সমাজ নেই, সময়ের পরিক্রমায় সেই সমাজ অসহিষ্ণুতার বাতাসে বিষাক্ত হয়ে উঠে। মনে রাখবেন, কারো ভালো কাজে যদি আপনি হাততালি না দিতে পারেন,অহেতুক বিতর্ক তুলে অন্তত তাহাকে নিরুৎসাহিত করবেন না !
কয়েকদিন আগে পত্রিকায় একটি ঘটনা পড়েছিলাম। বিয়ের অনুষ্টানে খাবারের মাংস কম পাবার কারণে বর এবং কনে পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার ফলে শেষ পর্যন্ত বিয়েটাই পন্ড হয়ে যায়। অতি উৎসাহি কিছু পেটুকদের কারণে দুটি পরিবারের মিলনটা আর হলোনা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দুটি পরিবার প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হলো আর মাঝখান থেকে লাভবান হলো দুষ্টরা। এই সব মাথা মোঠা পেটুকরা দেশ-বিদেশের সব জায়গায় রয়েছে। তাদের অতি রঞ্জিতার ফলে সমাজের অনেক সুন্দর কাজগুলো যে নষ্ট হয়ে যায় সেটা তাঁরা কখনো বুঝে না এবং বুঝার চেষ্টাও করেনা।
ইচ্ছে ছিলো দুটি কথা বলার, কিন্তুু লেখার মগ্নতায় ডুবে থাকার কারণে লেখাটি অনেক লম্বা হয়ে গেলো। যাক, আপনাদের আর ধৈর্যচ্যুতির ব্যত্যয় ঘটাবো না। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের একটি গল্প দিয়ে আজকের লেখাটি শেষ করছি। যেহেতু গল্প দিয়ে শুরু সেহেতু গল্প দিয়ে শেষ হউক ।
স্পেনের রানী ইসাবেলা ইটালির নাগরিক কলম্বাসকে খুব পছন্দ করতেন। রানীর কাছ থেকে অর্থ-কড়ি নিয়ে কোনো নতুন দেশ খোঁজার জন্য জাহাজ ভাসাতেন কলম্বাস। রানীর আমলাবর্গরা কলম্বাসকে পছন্দ করতেন না। এক রাতে পার্টি হচ্ছে। দু-তিনজন আমলা কলম্বাসের বুদ্ধিকে যাচাই করার জন্য তাঁকে বললেন, ‘তোমার বুদ্ধি ও সাহস অনেক, তুমি অজানার উদ্দেশে যাও, ভালো কথা, কিন্তুু তোমি কি ডিমকে দাঁড় করাতে পারবে “?
কলম্বাস বললো হ্যাঁ পারবো, কাজটি কঠিন নয়। ব্যাস্ পরের দিন ঘোষণা হলো- কলম্বাস ডিমকে দাঁড় করাবেন। আমলারা দাঁড়ালেন টেবিলের চারদিকে। সেখানে রানী ইসাবেলাও ছিলেন। কলম্বাস প্রথমে আমলাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছো যে ডিমকে দাঁড় করাতে পারবে ? কিন্তুু উপস্হিত সবাই বললো না।
তারপর কলম্বাস বললেন, আমি তোমাদের ডিম দাঁড় করে দেখাচ্ছি ? আমলারা ভাবতো তাদের বুদ্ধি বেশি। তাই সবার চোখ অপলক দৃষ্টিতে দেখছে কলম্বাস ডিমকে কীভাবে দাঁড় করান। সাবলীলভাবে কলম্বাস ডিমের মোটা অংশের দিক টেবিলের উপর ঠুকে দিলেন। খোসা ভেতরের দিকে দেবে গেল। তারপর ডিমটাকে কলম্বাস ভাঙা দিকটার উপর দাঁড় করিয়ে দিলেন।
তারপর তাঁকে ঘিরে ধরা আমলারা একসঙ্গে বললেন, ‘ডিম ভেঙে দাঁড় করাতে সবাই পারে।’এইভাবে আমরাও পারতাম। ‘সবাই পারে কিন্তু এখানে কেউ পারেনি’- শান্ত স্বরে উপস্হিত সবাইকে জবাব দিলেন কলম্বাস।
এই রকম অনেকে রয়েছেন আমাদের চারপাশে যারা কলম্বাসের গল্পের মত বলেন, “আমরাও পারি” ! কিন্তুু কার্য ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পারেনা। ইনিয়ে-বানিয়ে অন্যের কাজের সমালোচনা শুধু করতে জানে।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্হ থাকুন। আবারো কথা হবে অন্য কোনো পরিসরে।