আয়ারল্যান্ডে হার্লিং, রাগবির মতো ক্রিকেট অতটা জনপ্রিয় না হলেও ধীরে ধীরে ক্রিকেটার প্রসার হচ্ছে আয়ারল্যান্ডে। ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে তারা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও খেলে। ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপে সুপার ৮ এও খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এরপর ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে কোয়ালিফাই হয়নি। কিন্তু T20 তে ২০০৯ সাল থেকে ২০০২ সাল প্রত্যেকটা বিশ্বকাপ খেলে এবং ২০২৪ সালের T20 বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই হয়।
এতে বোঝা যায় আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটে অগ্রসর হচ্ছে সফলতা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে। সফলতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যদি ক্রিকেটের প্রসারতাকে বৃদ্ধি করা যায়। সেজন্য দরকার সমগ্র আয়ারল্যান্ডে ক্রিকেটের বিস্তার এবং তার জন্য দরকার ক্রিকেট মাঠ ও প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড।
আয়ারল্যান্ডে হাতে গোনা কয়েকটি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড ছাড়া খুব বেশি সংখ্যক মাঠ নেই। তন্মদ্ধে দুটি মাত্র আন্তর্জাতিক মানের মাঠ রয়েছে এবং তাও শুধুমাত্র ডাবলিনে।
অন্যান্য শহর বা কাউন্টিতে ক্রিকেট মাঠের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। যে কয়েকটি শহরভিত্তিক ক্লাব রয়েছে তাঁদের ক্রিকেটের উপযোগী পুর্নাঙ্গ পিচ বিশিষ্ট মাঠ নেই। ক্লাবগুলো স্পোর্টস ক্লাবের স্থান ভাড়া করে অথবা মাঠে কার্পেট বিছিয়ে অনুশীলন করতে হচ্ছে। একই চিত্র লিমেরিকেও।
এ বছরের প্রারম্ভে লিমেরিক ক্রিকেট ক্লাব ও লিমেরিক ব্লাস্টার ক্রিকেট ক্লাবকে নিয়ে কাউন্সিলর জনাব আজাদ তালুকদার কাউন্সিল হলে শুরুতে একটি প্রি-মিটিং এবং পরে স্পোর্টস মিনিস্টারের সাথে একটি ফলফ্রসু মিটিং সম্পন্ন করেন। উক্ত মিটিংগুলোতে লিমেরিকে ক্রিকেটের উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন ও দাবিগুলো তুলে ধরেন। উক্ত দাবির মধ্যে একটি ছিল ক্রিকেট মাঠ ও প্রাকটিস মাঠ তৈরি। তারই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত গত ১ মে ২০২৪ তে লিমেরিক সিটি ও কাউন্টি কাউন্সিল ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করে, যেখানে প্রাকটিস পিচ এবং নেট স্থাপন করা হবে।
জায়গাটি হচ্ছে লিমেরিকের মুনগ্রেট পার্কে Limerick City East Educate Together প্রতিষ্ঠানের পাশে। নিচে ম্যাপে হলুদ চিহ্নিত স্থানে।
এই প্রাকটিস গ্রাউন্ড সম্পন্ন হলে এটাই হবে লিমেরিকে সরকারীভাবে প্রথম কোনো জায়গা। যেখানে লিমেরিকের ক্রিকেট ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়রা অনুশীলন করতে পারবেন।
কাউন্সিলর তালুকদার জানান, এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ দিয়ে শুরু, ”আমি আবার নির্বাচিত হলে এ অনুশীলনের জায়গাকে আরো পরিবর্ধন করার চেষ্টা করব এবং একটি পূর্নাঙ্গ ক্রিকেটের মাঠে পরিণত করার। আমার স্বপ্ন ২০৩০ সালের ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড আয়োজিত T20 বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ হলেও লিমেরিকে অনুষ্ঠিত করা’’। তিনি এ বিষয়ে তৎকালীন ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছেও এ দাবী উত্থাপন করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি যদি নির্বাচিত নাও হই তারপরেও এই প্রাকটিস গ্রাউন্ডের প্রসারতায় অন্যরা এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আমি আশাবাদী’’।
স্থান নির্ধারিত হবার পর, জনাব আজাদ তালুকদার লিমেরিক সিটি ও কাউন্টি কাউন্সিলের অফিসারবর্গ এবং লিমেরিক ক্রিকেট ক্লাব ও লিমেরিক ব্লাস্টার ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যদের সাথে মাঠ পরিদর্শনে যান ও স্থানটি স্বরজমিনে দেখে আসেন।
লিমেরিক ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরা অনুশীলন স্থানের এ খবরে অনেক উচ্ছ্বসিত। তাঁদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার প্রহর গোছার অপেক্ষায়। এজন্য তাঁরা কাউন্সিলর আজাদ তালুকদারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন এতে লিমেরিকের ক্রিকেটের আরো উন্নতি হবে।