করোনা প্রতিরোধে প্রথম টিকা আনার পর এবার এই রোগের চিকিৎসায় দুটি ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। তার মধ্যে একটি মুখে গ্রহণের ওষুধ। অপরটি ইনজেকশনের মাধ্যম গ্রহণের ওষুধ। করোনার চিকিৎসায় মুখে গ্রহণের ওষুধটি আগামী বছর নাগাদ আসতে পারে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা গতকাল মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। তিনি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসিকে এই সাক্ষাৎকার দেন। বার্তা সংস্থা এএনআই এই তথ্য জানায়।
এখন ফাইজার করোনার চিকিৎসায় ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। এ সম্পর্কে ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘আমরা আসলে দুটি ওষুধ (অ্যান্টি-ভাইরাল) নিয়ে কাজ করছি। একটি ইনজেশনের মাধ্যমে দেওয়ার ওষুধ। অন্যটি মুখে গ্রহণের ওষুধ।’
দুটি অ্যান্টি-ভাইরালের মধ্যে মুখে খাওয়ার ওষুধটির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আলবার্ট বোরলা। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মুখে খাওয়ার ওষুধের একাধিক সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে একটি সুবিধা হলো—এই ওষুধ গ্রহণের জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে না। ঘরে বসেই ওষুধটি নেওয়া যাবে।
আলবার্ট বোরলা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে তাঁরা এখন যে গতিতে কাজ করছেন, সেই একই গতিতে তাঁরা ওষুধটি তৈরির প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি তাঁদের মতো গতিশীলভাবে কাজ করে, তাহলে তাঁর আশা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওষুধটি তৈরি হয়ে যাবে।
আলবার্ট বোরলা বলেন, তাঁরা এখন তাঁদের গবেষণার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। গ্রীষ্ম নাগাদ এ বিষয়ে তাঁদের কাছে আরও তথ্য আসবে বলে জানান তিনি।